চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন ‘শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’-এর দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ কোনোভাবেই উন্নয়নের গতি থামাতে পারবে না। সরকারের উন্নয়নের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন অনেকের চোখে পড়ে না। তাদের চোখ নষ্ট। যদি কারও চোখ নষ্ট হয়, তাহলে চোখের ডাক্তার দেখাতে পারেন। আমরা একটা খুব ভালো আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। সেখানে চোখ পরীক্ষা করলে, আমার মনে হয় তাহলে হয়তো তারা দেখতে পারবেন। আর কেউ যদি চোখ থাকতে অন্ধ হয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নাই। গতকাল সকালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা প্রান্তে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। এ সময় চট্টগ্রাম প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টানেলের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে। এ টানেল বাংলাদেশের জন্যই শুধু নয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই প্রথম। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হবে তেমনি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আরও গতিশীলতা পাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে এটা আরও বেশি অবদান রাখবে। ‘চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল করার চিন্তা-ভাবনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল হওয়ার পর চট্টগ্রামে এখন আমরা সমীক্ষা শুরু করেছি। চট্টগ্রামেও যেন মেট্রোরেল হয় সেটাই আমাদের ইচ্ছা। এখানে পাহাড়-পর্বত, তার পরেও কোথায় কতটুকু মেট্রোরেল করতে পারি তার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। আমরা অনেকগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চট্টগ্রামে করে দিয়েছি।