দেশের অভ্যন্তরীণ নদনদীসহ সাগরে ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিন জাল ফেলা নিষিদ্ধ। প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। শিকার নিষিদ্ধ সময়ের আগে অভ্যন্তরীণ নদনদীতে জেলেদের জালে মিলছে না ইলিশ মাছ। দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাহিদা বেড়ে যাওয়া ও নদীতে মাছ না থাকায় ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া। বড় সাইজের ইলিশের প্রতি মণ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। বরিশাল নগরীর ইলিশ মোকাম শহীদ জিয়া মৎস্য পাইকারি অবতরণ কেন্দ্রের আল-আমিন ফিশ সাপ্লায়ারের মো. জামাল বলেন, গতকাল মোকামে মাত্র ৩-৪ মণ ইলিশ কেনাবেচা হয়েছে। যার কারণে দাম অনেক বেশি।
জামাল বলেন, গতকাল বরিশাল মোকামে দেড় কেজি সাইজের মাত্র পাঁচটি ইলিশ মাছ উঠেছে। পাইকারিতে ৩ হাজার ১৫ টাকা কেজি দরে পাঁচটি মাছ কেনেন তিনি। পরে ৩ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। সেই হিসাবে দেড় কেজি সাইজের ইলিশের প্রতি মণ দর উঠে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা। তবে দেড় কেজি সাইজের মজুত করা (দুই/তিন দিন আগের) মাছের দাম একটু কম ছিল। খুচরা বাজারে ওই মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬০০ টাকা দরে। সেই হিসাবে বর্তমানে দেড় কেজি সাইজের এক মণ মাছের দাম ছিল ১ লাখ ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া তাজা ১ কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের ইলিশ মাছের মণ ৯০ হাজার, ১ কেজি সাইজের ইলিশ ৮৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ১ কেজির নিচের (৭০০-৯০০ গ্রাম) এলসি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ৭৫ হাজার টাকা প্রতি মণ। সেই হিসাবে এলসি সাইজের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৮৭৫ টাকা দরে। খুচরা বাজারে ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আধা কেজি ওজন সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৬২ হাজার, তিনটিতে ১ কেজি সাইজ ৩৬ হাজার ও জাটকা ২৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। পাইকারি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, মোকামে তেমন মাছ আসেনি। তাই অল্প কিছু মাছ কিনেছি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য। সেখানে বড় সাইজের কোনো মাছ পাঠাতে পারেননি। আধা কেজি থেকে জাটকা সাইজের মাছ পাঠানো হচ্ছে। তারও দাম অনেক বেশি। এ বিষয়ে বরিশাল জেলার মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, বর্তমানে জো নেই। যার কারণে নদীতে ইলিশ মাছ কম। যাও ধরা পড়ছে ছোট সাইজের মাছ। সামনে জো হচ্ছে প্রধান প্রজনন মৌসুমের। সেই সময়ে নিষিদ্ধ থাকবে। তাই মাছের দাম একটু বেশি। প্রজনন মৌসুমের পর দাম কমতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।