স্বাধীনতার পর থেকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউপির ১০ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। দুর্ভোগে ওই অঞ্চলের কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। বারবার জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও আজও পাকা করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণনগর গ্রামের চারগ্রাম কবরস্থান থেকে বটতলী বাজার হয়ে বালাডাঙ্গি-গোলাপগঞ্জ পর্যন্ত ১০ কিমি কাচা রাস্তার বেহাল দশায় চরম দুর্ভোগে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। এর মধ্যে চারগ্রাম কবরস্থান থেকে বটতলী বাজার পর্যন্ত সামান্য বৃষ্টিতে হাঁটু সমান কাদা জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েন কৃষি জাতীয় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ওই অঞ্চলের কৃষক। এ ১০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে দুটি বড় বড় বাজার বসে। যেখানে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও দূর-দূরান্তের ক্রেতা-বিক্রেতারা কেনাকাটার জন্য আসে। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ফরহাদ হোসেন, কৃষক রেজাউলসহ অনেকে জানান, আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে। কাঁচা রাস্তার যেখানে সেখানে খানাখন্দে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতে কাদা হয়ে দুর্ভোগ আরও চরমে ওঠে। ভোটের সময় সবাই রাস্তাটি পাকা করার আশ্বাস দিলেও আজ অবধি হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে সবকিছুতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ রাস্তাটির উন্নয়ন হয়নি। এ ব্যাপারে বীরগঞ্জের মোহনপুর ইউপির চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে রাবিশ ফেলে জনদুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পরেও রাস্তাটি পাকাকরণের সবরকম চেষ্টা করছি। প্রস্তাব দিয়েছি। স্থানীয় এমপি সাহেব আন্তরিকভাবে এ রাস্তা পাকাকরার আশ্বাস দিয়েছেন। শিগগিরই টেন্ডার হবে।