বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ইলিশ শিকারের অভিযোগে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সুন্দরবন উপকূলে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে এলাকার গভীর সাগর থেকে ৩টি ফিশিং ট্রলার ও জেলেদের আটক করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের করে শুক্রবার ভোরে ৩টি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে মোংলা থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ৩টি ফিশিং ট্রলারে থাকা ২ হাজার ৭০০ কেজি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। শুক্রবার বিকালে আটক এসব জেলেকে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে মোংলা থানা পুলিশ জানান, বঙ্গোপসাগরের ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের মধ্যে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে এলাকার গভীর সাগরে মাছ আহরণকালে ৩টি ফিশিং ট্রলার সনাক্ত করা হয়। এসময়ে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৮ ভারতীয় জেলেকে আটক করে। আজ ভোরে আটক ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ভারতীয় জেলেদের মোংলার নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড দপ্তরে নিয়ে আসা হয়। এরপর ট্রলারে থাকা ২ হাজার ৭০০ কেজি ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শুক্রবার ভোর রাতে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রির করা হয়। পাশাপাশি পৃথক মামলা দিয়ে আটক ৩টি ফিশিং ট্রলারসহ ভারতীয় জেলেদেরকে মোংলা থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে পৃথক মামলা দিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে ৩টি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারসহ ভারতীয় জেলেদেরকে মোংলা থানা পুলিশে হস্তান্তর করে। শুক্রবার বিকেলে আটক ভারতীয় ৪৮ জেলেকে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ