অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এখনো সময় চলে যায়নি। নির্বাচনের সঠিক তারিখ নির্ধারণ করুন। অনেকেই বাহানা করে আপনাকে বোঝাতে পারে ‘সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।’ কিন্তু সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করুন। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, যেখানে জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় আসবেন, সংসদে যাবেন। অভিজ্ঞ মানুষ দ্বারা দেশ পরিচালিত হবে। সেই সংসদে সংবিধান পরিবর্তন, পরিবর্ধন হবে- এটাই জনগণের চাওয়া আপনার কাছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের প্রধান শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, জনগণের মনের আশা পূর্ণ করার জন্যই আজকের অন্তর্বর্তী সরকার। সেটা কি পূরণ হচ্ছে? সংস্কারের নামে যদি আবার বিলম্ব হয়, সংস্কারের নামে যদি আবার আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এসে বসে যায়, তাহলে তো আমাদের আবার রাস্তায় নামতে হবে। আমরা আর রাস্তায় নামতে চাই না। আমরা মানুষকে শান্তিতে রাখতে চাই। আমরা মানুষকে গণতন্ত্র ফেরত দিতে চাই। আমরা শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের বাংলাদেশের ক্ষমতায় দেখতে চাই না। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বেলায় মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ চলে যায় বাসায়, আর এখন আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা কেন জামিন পায়- জনগণ তা জানতে চায়? বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন মামলা হলে পুলিশ বলে তদন্ত করে দেখব মামলা সঠিক কি না? কোথায় হারুন? কোথায় বিপ্লব? কোথায় মেহেদী? যারা বিএনপির অফিসকে তছনছ করেছে। নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করেছে, এখন কেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে? কেন এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের টিভি মিডিয়ার সামনে বসতে দেওয়া হচ্ছে? কেন চিনি, পিঁয়াজ, ডিমের দাম বাড়ছে- মানুষ তা জানতে চায়? ফারুক বলেন, এসব প্রশ্ন শোনার জন্য তো দেশের জনগণ ড. ইউনূসকে সম্মান দেয়নি। বাংলাদেশে যারা আওয়ামী লীগের মতো ষড়যন্ত্র করে দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে যারা ধ্বংস করেছে, যারা হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে, আয়নাঘর তৈরি করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্যই আপনাকে গদিতে বসানো হয়েছে। সংস্কারের নামে কেন দেরি হচ্ছে? সংস্কারও চলবে, গ্রেপ্তারও চলবে। হাসিনাকে আনার ব্যবস্থাও করতে হবে। এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মওলা চৌধুরী, এনডিপির চেয়ারম্যান কারি আবু তাহের, মহাসচিব আবদুল্লাহ আল হারুন সোহেল, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেন, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল বারিক ও এনপিপির যুগ্ম মহাসচিব মো. ফরিদ উদ্দিন।
শিরোনাম
- মাঠের লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় লিটন
- রাতে মুখোমুখি হচ্ছে ম্যানইউ ও ম্যানসিটি
- শীতের মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস, বাড়তে পারে তাপমাত্রা
- হিজাব না পরে কনসার্টে গান, গ্রেফতার ইরানের গায়িকা
- মানহানি মামলা: ট্রাম্পকে দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে এবিসি নিউজ
- রাজধানীর যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না সোমবার
- অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো দুর্নীতি হয়নি : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির
- এবার অবসরের ঘোষণা দিলেন মোহাম্মদ ইরফান
- মার্কিন সরকারকে সহযোগিতার অভিযোগে সাংবাদিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিলো ইরান
- পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক
- পয়েন্ট খুইয়ে শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারাল রিয়াল মাদ্রিদ
- সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে
- জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, টেকনাফে নারী-শিশুসহ ৩০ রোহিঙ্গা উদ্ধার
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহত
- বিহারে বন্দুক ঠেকিয়ে সরকারি চাকরিজীবীকে অপহরণ করে বিয়ে করল তরুণী
- বিআরটি প্রকল্পে বাস সার্ভিস চালু
- ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থন ইতালির
- কুকুরকে ধর্ষণ, হাতেনাতে ধরা যুবক
- কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করা অনিরাপদ জানবেন যেভাবে
- ছাত্রলীগ নেত্রী নদী গ্রেফতার
প্রকাশ:
০০:০০, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
জয়নুল আবদিন ফারুক
সময় থাকতে নির্বাচনের তারিখ দিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
এই বিভাগের আরও খবর