ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের সবগুলোতেই হেরেছেন মিরাজরা। ২০১৪ সালের পর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। সিরিজ হারের আগে ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে টানা ১১ জয় ছিল মিরাজদের। ব্যাটিং ও বোলিং ব্যর্থতায় এবার টানা তিন ম্যাচ হেরেছে মিরাজ বাহিনী। অথচ সিরিজ শুরুর আগে টাইগার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে টানা পঞ্চম সিরিজ জয়ের।
প্রথম ম্যাচে ২৯৪, দ্বিতীয় ম্যাচে ২২৭ রান করেও সিরিজ হেরে যায়। পরশু সেন্ট কিটসে ৩২১ রান করেও কোনো লড়াই করতে পারেনি। হেরে যায় ২৫ বল আগে ৪ উইকেটে। ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচে বাজিমাত করেন ক্যারিবীয় তরুণ ব্যাটার আমির জাঙ্গু। ৮৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয় উপহার দেন। এই হার দিয়েই ২০২৪ সাল শেষ হয়েছে টাইগারদের।
এমন হার মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। একই হতাশার সুরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ।
তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস দ্রুত ফিরে গেলেও সৌম্য সরকার এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে এই দুই ব্যাটারই সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। পরে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিকের অর্ধশতকের মাধ্যমে সফরকারীদের ইনিংস থামে ৩২১ রানে।
বাংলাদেশি বোলাররা শুরুতে ভালো করলেও ম্যাচের চিত্র দ্রুত বদলে যায়। ১৪.১ ওভারে ৮৬ রানের মাথায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারায় ব্রেন্ডন কিং, এভিন লুইস, শাই হোপ এবং শেরফান রাদারফোর্ডকে। তাসকিন আহমেদ এবং নাসুম আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর জয়ের সম্ভাবনা স্পষ্ট ছিল বাংলাদেশের।
কিন্তু কেসি কার্টি ও অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুরের শতরানের জুটি ওলটপালট করে দেয় সব। কার্টি ৯৫ রানে আউট হলেও আমির অপরাজিত ১০৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তাকে সঙ্গ দেন গুদাকেশ মোতি। এ জয়ে ১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
এদিকে রান বন্যার ম্যাচ এমন হারের বিষয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, আমার মনে হয় ক্রিকেট খেলাটাই এরকম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন আমাদের কাছে ১১টা ম্যাচ হেরেছে, তখন নিশ্চয়ই তাদের হতাশা আমাদের চেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু কালকের ম্যাচটা হজম করা কঠিন। আমরা জিততে পারলাম না।
তবে ব্যাটিং উইকেটে বাংলাদেশের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন ফারুক বলেন, এই উইকেটে বোলিং কার্যকর হচ্ছিল না। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা এক-দুটি ক্যাচ ছেড়েছি। আমিও চিন্তা করিনি যে কালকের ম্যাচটা হারব। আমরা আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গায় পারফর্ম করতে পারিনি। তবে এটাও বুঝতে হবে, আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলছি, যেখানে কন্ডিশন আলাদা।