রাজধানীর বাজারে বেড়েছে শাক-সবজি ও মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শসার দাম। এটির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাজারে জিরা, এলাচসহ কয়েকটি মসলার দামও কিছুটা বেড়েছে। তবে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ঝাঁজ কমেছে কাঁচা মরিচের।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর তালতলা, কল্যাণপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলমি শাক দুই আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০ টাকা, টমেটো মানভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স ও পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন এলাকার সবজিক্ষেত ডুবে গেছে। এজন্য বাজারে সবজির সরবরাহ কিছুটা কমায় দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। সোনালি কক মুরগি ৩১০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৮০ টাকা, লাল লেয়ার ২৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে খামারি পর্যায় থেকে ঠিকমতো বাজারে মুরগি আনা যাচ্ছে না। বৃষ্টির মধ্যেই অল্প মুরগি আনা হলেও বাড়তি গাড়িভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে।
বাজারে দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হাইব্রিড শসা ১০০ টাকা এবং দেশি শসা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে শসা ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
ঝাঁজ কমেছে কাঁচা মরিচের। হঠাৎ সরবরাহ সংকটে কাঁচা মরিচের দাম একলাফে প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় উঠেছিল। সরকার ভারত থেকে আমদানি শুরু করায় কাঁচা মরিচের উত্তাপ কিছুটা কমেছে। এখন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম বেশ চড়া। বাজারগুলোতে এক কেজি ওজনের ইলিশ ২৬০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ইলিশ ২২০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ইলিশ ১৬০০ টাকা এবং ৩০০ গ্রাম ইলিশ ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে এক কেজি চাষের শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, দেশি শিং ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতলা ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি ১৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, এবং দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারগুলোতে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং '২৮' চাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও আদা ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৮০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা কেজি দরে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম