পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তিনজন বিচারক পৃথকভাবে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচ দিন এবং ১৩ জুলাই আলমগীর ও মনিরের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সেই রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় ১৪ জুলাই দুই ভাই রাজীব বেপারী ও সজীব বেপারীর ৫ দিন এবং ১৫ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিনের ৫ দিন এবং ১৬ জুলাই নান্নু কাজী, রেজওয়ান উদ্দিন ওরফে অভিজিৎ বসু ও তারেক রহমান রবিনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (মিটফোর্ড) তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামের ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্ত্র মামলা করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/একেএ