ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) সেন্ট লুসিয়া কিংসের বিপক্ষে রীতিমত তাণ্ডব চালালেন সাকিব আল হাসান। রবিবার (৩১ আগস্ট) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে মাত্র ২০ বলেই অর্ধশত তুলে নেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে করেন ৬১ রান। তার এই ইনিংসে পাঁচটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার রয়েছে। ইনিংসে সাকিবের স্ট্রাইক রেট ২৩৪.৬১।
তার এই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৪ রান তোলে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় সেন্ট লুসিয়া। ৫৩ বলে অপরাজিত ১২৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেই সাকিবদের হারিয়ে দিয়েছেন কিউই ওপেনার টিম সাইফার্ট। সাকিব বল হাতে ২ ওভারে দিয়েছেন ৩২ রান।
চলতি সিপিএলের শুরু থেকে ব্যাটার সাকিবের ওপর ভরসা রেখেছে ফ্যালকনস ম্যানেজমেন্ট। প্রতি ম্যাচেই তাকে পাঠাচ্ছিল ৪ অথবা ৫ নম্বর পজিশনে। আজও তার ব্যত্যয় ঘটল না। ইনিংসের সপ্তম ওভারে তিনি নামেন ৪ নম্বর পজিশনে। দলের রান তখন ৫১, ২ উইকেট খুঁইয়ে। সাকিব এসেই ঝড় তোলেন। ফ্যালকনসের মোমেন্টামও বদলে যায় সঙ্গে সঙ্গে।
সাকিব স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের আগেই হাঁকান জোড়া ছক্কা। এরপর ডেভিড ভিসার এক ওভারে ৩ চার আর ২ ছক্কায় তোলেন ২৪ রান। কিংসের বোলিংয়ের যত পরিকল্পনা ছিল, সে ওভারেই সব জানালা দিয়ে পালায়।
সাকিব তার সিপিএল ক্যারিয়ারের তৃতীয় আর চলতি আসরের প্রথম ফিফটির দেখা পেয়ে যান মাত্র ২০ বলে। এরপরও তিনি দমে যাননি, আলজারি জোসেফের বলে ছক্কা হাঁকিয়েছেন লং অফ দিয়ে; ফিফটির পরের ৬ বলে তুলেছেন আরও ১১ রান। ২৬ বলে তার ইনিংস শেষ হয় ৬১ রান তুলে। তবে ততক্ষণে ফ্যালকনসের রানের পাগলা ঘোড়া ছুটে গেছে।
সাকিব তার ওপাশে আমির জাঙ্গুর সঙ্গ পেয়েছিলেন, যিনি ৪৩ বলে করেছেন ৫৬। তার বিদায়ের পর শেষ দিকে ফাবিয়ান অ্যালেনের ১৭ বলে ৩৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস ২০০ রানের মাইলফলক পার করিয়ে দেয় দলটাকে।
কিংসের হয়ে তাবরেইজ শামসিই যা একটু সমীহ আদায় করে নিতে পেরেছেন। ফ্যালকনসের ৪ উইকেটের ৩টিই শিকার করেছেন তিনি, ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন মোটে ৩০ রান। যদিও বাকি বোলারদের কেউই তার ধারেকাছের পারফর্ম্যান্সও দিতে পারেননি, সবাই রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ১০ এরও বেশি করে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম