মাঠের ক্রিকেটে খারাপ সময় কাটানো বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মাঠের বাইরেও অপ্রীতিকর নানা ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দেশে ফিরে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন তারা। বিমানবন্দরে ভুয়া-ভুয়া স্লোগান, পরিবার তুলে গালাগাল চলতে থাকে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বরাবরের মতো এবারও একই কাজ চলতে থাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এটা নতুন কিছু নয়।
তবে ক্রিকেটাররা খারাপ পারফরম্যান্স করে যখন সমালোচিত হন, যখন সমর্থকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন; তখন তারা মাঠে জবাব দেওয়ার বদলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জবাব দেন। এই বিষয়টিই পছন্দ করছেন না টাইগার হেড কোচ ফিল সিমন্স।
তিনি বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। টাইগার কোচ মনে করেন, ব্যক্তিগতভাবে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকতেই পারে। তবে জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে এসব জায়গা এড়িয়ে চলা উচিত।
শুক্রবার দুপুরে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমি প্রথমত খেলোয়াড়দের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু করার বিষয়ে একমত নই। একজন ব্যক্তি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা, আপনি যা চান তা বলার অধিকার আছে। কিন্তু একজন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে, বাংলাদেশের একজন জাতীয় খেলোয়াড় হিসেবে, আমার খেলোয়াড়দের সেখানে থাকা উচিত নয়।’
অতি সম্প্রতি আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজ শেষ করে দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে বাসায় যাওয়ার পথে কিছু উশৃঙ্খল জনতা নাইম শেখসহ একাধিক ক্রিকেটারের গাড়ি আটকে আপত্তিকর কথাবার্তা বলে তাদের নাজেহাল করে। তার উত্তরে বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটার নাইম শেখ নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তা ফেসবুকে বেশ সাড়া জাগালেও হেড কোচ সিমন্স মোটেই খুশি হননি।
তিনি বুঝিয়ে দিলেন, মাঠের বাইরের কোনো ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট না করলেই ভালো হয়। তাই মুখে একথা, ‘আমি চাই না আমার খেলোয়াড়রা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কিছুর উত্তর দিক।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই