নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরে কলেজছাত্রীর বাবাকে কবিরাজি চিকিৎসা দেয়া মোহাম্মদ আলী (৬০) নামের ধর্ষককে আটক করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার বিকালে আটককৃতকে কোর্টে সোর্পদের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত রবিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী নিজে বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া এলাকা থেকে ওই ধর্ষক কবিরাজকে আটক করে। ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকায় গ্রাম্য কবিরাজি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী দীর্ঘদিন ধরে গুচ্ছগ্রাম এলাকায় ভুক্তভোগীর বাবাকে কবিরাজি চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। এ সময় তার নজর পড়ে ওই কলেজছাত্রীর ওপর। কয়েক মাস আগে তিনি প্রথমে কুপ্রস্তাব দিলেও কলেজছাত্রী সাড়া না দেয়ায় তার পিছনে লাগেন।
এক পর্যায়ে গত ৭ অক্টোবর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে বের হলে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা মোহাম্মদ আলী ওই ছাত্রীর মুখ চেপে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর নির্জন মাল্টা বাগানে নিয়ে হাত পা বেধে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তিনি পালিয়ে যান। কিন্তু ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ে ওই কলেজ ছাত্রীর অসুস্থতায়। পরে এ নিয়ে গুচ্ছগ্রামে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ শুক্রবার তাকে আটক করে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী পলাতক ছিলেন। কিন্তু তার খোঁজে ছিলো পুলিশ। শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম