বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ায় আয়োজিত তিন দিনের লালন স্মরণোৎসব আজ শেষ হচ্ছে। গত দুদিন লালন ভক্ত, অনুসারী বাউল-ফকিরদের গান, সাধুসঙ্গ, ভাব আলোচনাসহ নানা কর্মকাণ্ডে মুখর ছিল আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ।
আজ ভাঙবে সেই মিলনমেলা। গতকাল শনিবার সকালে বাল্যসেবায় দই ও চিড়া নাশতা দেওয়া হয় বাউলদের। দুপুরে পুণ্যসেবায় ভাত, ডাল, সবজি, মাছ ও দধি খান তারা। লালন একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক উপস্থিত থেকে বাউলদের পুণ্যসেবা তুলে দেন।
এর পর লালন মতে দীক্ষিতদের শিষ্যত্ব দেন তাদের নিজ নিজ গুরুরা। এসব লৌকিক রীতির মধ্য দিয়ে শেষ হয় লালন শাহের তিরোধান দিবসে বাউল ও ভক্তদের মূল অনুষ্ঠান সাধুসঙ্গ।
সাধুসঙ্গ সাঙ্গ হলেও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তিন দিনের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হবে আজ মধ্যরাতে। তবে স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গ্রামীণ মেলা চলবে আরও কয়েকদিন।
ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সাধু, বাউল, লালনভক্ত আর অনুসারীদের গান, আলোচনা আর ভাব বিনিময়ে মুখর ছিল আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ। সাধুসঙ্গ শেষে কেউ কেউ আবার ফিরছেন আপন ঠিকানায়। লালন একাডেমির প্রবেশপথ, লালন সাঁইর মাজার প্রাঙ্গণ, আখড়াবাড়ি, মেলার মাঠ হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য। আখড়াবাড়ির ভেতরে হাজার হাজার বাউল ও লালন অনুসারী সাদা কাপড় পরিহিত ছিলেন। অন্য পোশাকেও ছিলেন অনেকে। দুপুরে তাদের আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুণ্যসেবার ভাত, ডাল, সবজি ও ইলিশ খেতে দেওয়া হয়। রীতি অনুযায়ী সাধু-গুরুরা সবাই একসঙ্গে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন