ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের ওপর রিশাদ হোসেনের বোলিং একেবারে ছন্দে ছিলো, আর সেই বোলিং পারফরম্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য এনে দিলো ৭৪ রানের দারুণ জয়। ব্যাটিংয়ে ক্যামিও ইনিংস খেলার পর রিশাদ বোলিংয়ে করলেন রেকর্ড গড়া কীর্তি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০৮ রানের লক্ষ্যে যখন উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তুলেছে, তখন অনেকেই মনে করছিলেন বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কমে গেছে। কিন্তু সেখান থেকে রিশাদ অসাধারণ বোলিং করে ম্যাচের রূপ পাল্টে দেন। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে তুলে নেন ৪ উইকেট, যা প্রতিপক্ষের ব্যাটিং ধসিয়ে দেয়। পরে অন্যান্য বোলারদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ নিশ্চিত করে বড় জয়।
ম্যাচে রিশাদ ৩৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েন। বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রথম স্পিনার হিসেবে ৬ উইকেট নিলেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ২৮ রানে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড পেছনে ফেলে ক্যারিয়ারের প্রথম ‘ফাইফার’ পান ২৩ বছর বয়সী এই স্পিনার। বাংলাদেশের ছয় উইকেট নেওয়া বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমানের পর রিশাদ।
ব্যাটিংয়ে শেষ দিকে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও, ২০০ স্ট্রাইক রেটের সাথে তার বোলিং পারফরম্যান্সই তাকে ম্যাচ সেরার খেতাব এনে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে রিশাদ বলেন, 'এটা আমার কাজ, আমাকে এটা করতেই হবে। সবাই ব্যাটিংয়ে সংগ্রাম করছিল, আমি চেষ্টা করেছি সেরাটা দেওয়ার।'
তিনি আরও জানান, 'শুরুতে বোলিংয়ে একটু অ্যাডজাস্ট করতে সমস্যা ছিল, তবে পরে আমি ঠিকঠাক করে নিয়েছি।' ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে রিশাদ বলেন, 'আমাদের সবাই বিশ্বাস করেছিল শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। জয়ের চিন্তা করিনি, শুধু লড়াই করার চেষ্টা করেছি।'
রেকর্ড গড়ার ব্যাপারে তিনি জানান, 'অতি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না। শুধু পরিকল্পনা ছিল নিজেকে প্রক্রিয়ায় রাখা এবং সঠিক বল করা। বাকিটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা।'
বিডি প্রতিদিন/মুসা