জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল না। ছিল না কোনো বিদেশি ইন্ধন। চানখাঁরপুলে ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরার জবাবে এ কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। জেরার একপর্যায়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী জানতে চান, এই আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল কি না? জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, না কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল না। ৫৮ জন সমন্বয়ক ও সহ সমন্বয়কের সবার মর্যাদা সমান ছিল। আইনজীবীর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এক দফা কর্মসূচি ঘোষণার পেছনে কোনো বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল না। আমরা নিজেরাই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। গতকাল বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ এই মামলায় প্রসিকিউশনের ১৯ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দ্বিতীয় দিনে নিজের অসমাপ্ত জবানবন্দি শেষ করেন তিনি। পরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এর আগে গত ৯ অক্টোবর জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন আসিফ মাহমুদ। এ মামললার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামীম, ফারুক আহমদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও তারেক আবদুল্লাহ প্রমুখ। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশের আট সদস্য এ মামলার আসামি। তাদের মধ্যে চারজন পলাতক। তারা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও নাসিরুল ইসলাম। গতকাল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় তারা ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় ছিলেন।