জনতা পার্টি বাংলাদেশ-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার মিলন বলেছেন, ঐকমত্য কমিশন তার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে। মুখচেনা, জাতীয় রাজনীতিতে অপাঙ্ক্তেয়, বড় দলের প্রত্যঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত এবং গণ অভ্যুত্থানে নিষ্ক্রিয় কয়েকটি দল নিয়ে সংলাপের ফসলের নাম জাতীয় সনদ হতে পারে না। বহু নিবন্ধিত এবং বিপ্লব-সমর্থক দলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাইরে রাখা হয়েছে। গতকাল রাজধানীতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, কমিশন এখন নিজেই স্বীকার করছে যে, মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধানে ত্রুটি ও গাফিলতি হয়েছে। নিবন্ধন প্রদানের ক্ষেত্রে কমিশন এক-এগারোর বা ফ্যাসিস্ট আমলের কমিশনের নীতিমালা অনুসরণ করছে।
নির্বাচন সংস্কার কমিশন নিবন্ধন নীতিমালা সহজীকরণের যেসব প্রস্তাব রেখেছিল সেসবের ধারেকাছেও হাঁটছে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুসলীম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ। এনপিপির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সালু, মুসলীম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, উপদেষ্টা ড. ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক উপমন্ত্রী রফিকুল হক হাফিজ, অ্যাডভোকেট এ বি এম ওয়ালিউর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, এম এ ইউসুফ, জাগপার সভাপতি মহিউদ্দিন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান, এনপিপির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আবদুল হাই ম ল, বাংলাদেশ ঐক্য পার্টির সাধারণ সম্পাদক আ. রহিম চৌধুরী, জনতা পার্টি বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব রফিকুল হক তালুকদার রাজা প্রমুখ।