চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের মনোনীত প্যানেলের বিজয়ীদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের সংবর্ধনা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নাছির বলেন, ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের নানা সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। এর মধ্যে ভোট প্রদানকারীদের জন্য অমোচনীয় কালির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। একাধিক কেন্দ্রে দীর্ঘ সময় ধরে এলইডি স্ক্রিনে ভোট প্রদান কার্যাবলির সম্প্রচার বন্ধ ছিল। নির্দিষ্ট একটি প্যানেলের এজেন্ট নিজে সাংবাদিকদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছেন। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের ব্যাপক অবস্থান ছিল। সার্বিকভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ চবিতে বিদ্যমান ছিল। আমরা এই নির্বাচনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন শুধু আমাদের (ছাত্রদল) অভিযোগ ছিল না। অন্যান্য প্যানেলেরও নানা অভিযোগ ছিল। অভিযোগগুলো নির্বাচন কমিশনকে জানালে তারা তা গুরুত্ব সহকারে দেখেছে। আমাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদের ভোট পুনরায় গণনা করা হচ্ছে, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ইতিবাচক পরিবেশের লক্ষণ। আশা করি পরবর্তী নির্বাচন আরো সুন্দর হবে।
চাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদের এজিএস পদে বিজয়ী হয়েছেন আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। তিনি বলেন, আমার প্যানেল থেকে আমি নির্বাচিত হয়েছি। এ নির্বাচিত হওয়ার পেছনে আমাদের শিক্ষার্থীদের সমর্থন ও ভালোবাসা ছিল। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ওয়াসিম, হৃদয় চন্দ্র তরুয়াসহ যারা প্রাণ দিয়েছে, তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা আজ ছাত্রসংসদ চালু করতে পেরেছি। শিক্ষার্থীদের কথা দিয়েছিলাম নির্বাচিত হলে দল-মত-নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য কাজ করব। এখনো সেটাই বলেছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কাজী জিয়াউদ্দিন বাসেত, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমদ। এ ছাড়া চবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, চাকসুর নব্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) আইয়ুবুর রহমান তৌফিকসহ অন্য নেতাকর্মীরা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ