যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি হামাস শান্তিচুক্তি মানতে না চায়, তিনি ইসরায়েলকে গাজায় আবার অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। বুধবার সিএনএনকে তিনি বলেন, আমি বললেই ইসরায়েলি সেনারা আবার সড়কে নামবেন।
এর আগে ইসরায়েল অভিযোগ করে, হামাস গাজা যুদ্ধ বন্ধ করা চুক্তি মানছে না। জীবিত ও মৃত জিম্মিদের ফেরত দিচ্ছে না। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক সহায়তার সরবরাহ কমানো হতে পারে। কারণ খুব কমসংখ্যক মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে হামাস। এদিকে হামাস বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় জিম্মিদের লাশ খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত শান্তিচুক্তি টিকে আছে। ট্রাম্পঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, ইসরায়েল যখন প্রকাশ্যে এ চুক্তি মেনে নেবে, তখন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মিকে জীবিত ও মৃত ফেরত পাঠানো হবে। বুধবার পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মির সবাই দেশে ফিরেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, জীবিত জিম্মিদের উদ্ধার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। জ্যেষ্ঠ দুই মার্কিন উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না যে হামাস মৃত সব জিম্মির দেহ না দিয়ে চুক্তির শর্ত ভাঙছে। হামাস চেষ্টা করছে ফেরত দেওয়ার। অনেক ক্ষেত্রে লাশ ভবন বা স্থাপনার ধ্বংসাবশেষের নিচে থাকতে পারে। এদিকে গাজায় হামাস ও প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সহিংস সংঘাত শুরু হয়েছে। এক ঘটনায় হামাস প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করতে হবে, না হলে বলপ্রয়োগে অস্ত্র সমর্পণ করানো হবে। তবে এ মুহূর্তে হামাস গাজায় সহিংস গোষ্ঠীগুলোকে সরাচ্ছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও নেতানিয়াহু যুদ্ধ শুরু করতে চেয়েছিল, কিন্তু তিনি তাঁদের থামিয়েছেন। এ নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর তর্ক হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি শান্তির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী ট্রাম্প বলেন, এ যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে ৫৯টি দেশ যুক্ত। আমরা এর আগে এমন কিছু দেখিনি।