জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ডাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুবসমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে। গতকাল রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনি আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে। ৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরেবাইরে কোথাও নেই। তারা এ দেশের নাগরিক।’ তিনি বলেন, ‘আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক, সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’
দুর্নীতির অস্তিত্ব দেশে রাখা হবে না উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করব। লড়াই করব, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা এলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।’
জামায়াতের আমিরের সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ : এদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনার অজিত শিং। গতকাল জামায়াতে ইসলামীর আমিরের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ ও প্রাতরাশ বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ ও কানাডার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। এ সময় হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মার্কাস ডেভিস, সিনিয়র ট্রেড কমিশনার ডেবরা বয়েস, পলিটিক্যাল অ্যাডভাইজার নিসার আহমেদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন এবং আমিরে জামায়াতের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।