ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ইয়েমেনের সশস্ত্র হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল-ঘামারি।
বৃহস্পতিবার হুথি ঘামারির প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি গোষ্ঠীটি।
হুথি এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলি শত্রুদের বিরুদ্ধে সম্মানজনক লড়াইয়ের সময় প্রাণ হারিয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আল-ঘামারি।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনে হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইয়েমেনে সেই হামলায় অন্তত নয়জন নিহত হন। ওই সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছিল, ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের প্রধান কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
বিবৃতিতে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সংঘাত শেষ হয়নি। ইসরায়েল তার অপরাধের যথাযথ প্রতিশোধমূলক শাস্তি পাবে।
গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে একেবারে যুদ্ধের শুরু থেকে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে ইয়েমেনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। জবাবে হুথি নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
গত ১৪ জুন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ইয়েমেনে হুথিদের শীর্ষ সামরিক নেতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় আইডিএফ বলেছিল, এই হামলা সফল হয়েছে কি না, তা শিগগিরই জানা যাবে।
কে এই নিহত হুতি নেতা ঘামারি
ঘামারি ২০১৬ সাল থেকে হুথি গোষ্ঠীর সামরিক শাখার চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ওই বছর হুথির সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পরিষদ তাকে মেজর জেনারেল পদে উন্নীত করে।
২০২১ সালে তিনি সংগঠনের সেনাপ্রধান (কমান্ডার-ইন-চিফ) হিসেবে দায়িত্ব নেন ঘামারি। ওই সময় তিনি আবদুল খালেক আল-হুথির স্থলাভিষিক্ত হন। বর্তমানে আবদুল খালেক সংগঠনের দ্বিতীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কমান্ডার-ইন-চিফ হওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েন ঘামারি। তিনি ইয়েমেনের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছেন বলে জানায় জাতিসংঘ। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগও তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সূত্র: রয়টার্স, এপি, ওয়াশিংটন পোস্ট, এএফপি, জেরুজালেম পোস্ট
বিডি প্রতিদিন/একেএ