রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে ২০তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা। পাঁচ দিনের এ ফার্নিচার মেলা আইসিসিবির গুলনকশা, পুষ্পগুচ্ছ ও রাজদর্শন হলে চলবে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন কোম্পানি নানান ধরনের ছাড় দিচ্ছে। লেগাসি ফার্নিচার দিচ্ছে সব পণ্যে ১৫ শতাংশ ছাড়। এ ছাড়া নাভানা ফার্নিচার ১৫, চ্যাম্পিয়ন ফোম ও ম্যাট্রেস ১৫, হাতিল ফার্নিচার ৫, ব্রাদার্স ফার্নিচার ১৫ ও নাদিয়া ফার্নিচার দিচ্ছে ১২ শতাংশ ছাড়। এ ছাড়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও ছাড় চলছে। এ খবরে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সমাগম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এবার প্রবেশমূল্য নেওয়া হচ্ছে না।
আইসিসিবির ১ নম্বর হল গুলনকশায় ২০ শতাংশ ছাড়ে সব পণ্য বিক্রি করছে ফার্নিচার কনসেপ্ট। স্টল থেকে তারা জানায়, মেলা চলাকালে সব ফার্নিচারে ২০ শতাংশ ছাড় চলছে। ফার্নিচার কনসেপ্টে পাওয়া যায় প্রিমিয়াম মানের কাঠ ও আধুনিক ডিজাইন। এর মধ্যে আকর্ষণীয় বেডরুম সেট, স্টাইলিশ সোফা ও লিভিং রুম ফার্নিচার, ডাইনিং সেট ও চেয়ার টেবিল, অফিস ও স্টাডি ফার্নিচার। এ ছাড়া বাজেট অনুযায়ী বেছে নেওয়ার সুযোগের পাশাপাশি এক্সপার্টদের থেকে ইন্টেরিয়র সাজানোর পরামর্শের ব্যবস্থা রয়েছে।
মেলায় বার্জার পেইন্টস প্রদর্শন করছে তাদের অত্যাধুনিক ইনোভা উড কোটিং প্রোডাক্ট সিরিজ। জার্মান প্রযুক্তিনির্ভর এ প্রিমিয়াম পণ্যসারি কাঠ ও বোর্ডভিত্তিক ফার্নিচারে দেয় টেকসই, উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ফিনিশ। ৭০টির বেশি রঙের বৈচিত্র্য নিয়ে ইনোভা উড কোটিং পাওয়া যাচ্ছে গ্লসি ও ম্যাট দুই ধরনের প্রিমিয়াম ফিনিশে। এর তাপ ও পানিরোধী বৈশিষ্ট্য ফার্নিচারকে দাগ ও ক্ষয় থেকে রক্ষা করে, দীর্ঘস্থায়ী উজ্জ্বলতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
হাতিল ফার্নিচারের জুনিয়র অফিসার আরিফা ইসলাম বলেন, ‘হাতিল ফর্নিচার ৭৫টি বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ক্রেতাদের দোরগোড়ায় ফর্নিচার পৌঁছে দিচ্ছে। এ ছাড়া দেশের বাইরে ভারতে ২৭তম বিক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে। ভুটানে দুটি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। মেলায় আমরা ফার্নিচারের সব ধরনের আইটেম নিয়ে আসছি। প্রদর্শনীর বাইরেও আমাদের ক্যাটালগ অনুযায়ী যে কোনো ফার্নিচার অর্ডার করতে পারবেন ক্রেতা। আমরা নিত্যনতুন পণ্য নিয়ে কাজ করছি। মেলা উপলক্ষে সব ধরনের পণ্যে ৫ শতাংশ ছাড়সুবিধা রয়েছে।’
ব্রাদার্স ফার্নিচারের স্টল ইনচার্জ মহীউদ্দীন রিপন বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ডিজাইনে ও মানসম্মত কাঠামো দিয়ে নতুন ডিজাইনের ফার্নিচার তৈরি করে ব্রাদার্স ফার্নিচার। এসব ফার্নিচার বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বমানের প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম। পণ্যের ওয়ারেন্টি, গ্যারান্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ব্রাদার্স ফার্নিচার অঙ্গীকারবদ্ধ। মানসম্মত ডিজাইনের কারণে ব্রাদার্স ফার্নিচার আজ সবার পছন্দ। আমরা বাসা এবং অফিস ফার্নিচার সলিউশন নিয়ে কাজ করছি। মেলা উপলক্ষে আমাদের এখানে ৫ থেকে ১৫ শতাংশ ছাড় রয়েছে।’
আয়োজকরা জানান, মেলার মূল লক্ষ্য দেশি ফার্নিচার শিল্পের বিকাশ ঘটানোর পাশাপাশি রপ্তানি বাজার আরও সম্প্রসারণ করা। এবারের মেলায় মোট ৪৮টি শীর্ষস্থানীয় ফার্নিচার কোম্পানি অংশ নিয়েছে। তারা সর্বাধুনিক নকশা ও পণ্যের প্রদর্শনী করছে ২৭৮ স্টলে।