মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সরকারের অচলাবস্থার মধ্যে একজন ধনী ব্যক্তি মার্কিন সেনাদের বেতন পরিশোধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসে আর্জেন্টিনার প্রধানমন্ত্রী জাভিয়ের মিলেইয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময় এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, আপনার কাছে কী সেনাদের বেতন দেওয়ার টাকা আছে? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, আছে। একজন খুব ধনী ব্যক্তি এ দায়িত্ব নিতে চেয়েছেন।’
ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি একজন দাতা, অত্যন্ত ভদ্রলোক। তিনি ফোন করে বলেছেন, যদি সেনাদের বেতন দিতে অর্থের ঘাটতি হয়, তাহলে তিনি সেই টাকা দেবেন।
তবে ট্রাম্প ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে ধারণা করছেন, ওই ব্যক্তি হতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক।
মাস্ক একসময় ট্রাম্প সরকারের “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বা সরকারি দক্ষতা বিভাগে কাজ করেছিলেন। সেখানে তিনি সরকারি খরচ কমানো ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রোধের দায়িত্বে ছিলেন। তবে মে মাসে তিনি ওই পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
ট্রাম্পের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এক ব্যবহারকারী এক্স (পূর্বে টুইটার)–এ লেখেন, ‘তাহলে… ইলন? আরেকজন মন্তব্য করেন, যদি ইলন হতেন, তবে তিনি ঘোষণা দিতেন। সম্ভবত কোনো বিদেশি দাতা হতে পারে, যার এর বিনিময়ে কিছু পাওয়ার ইচ্ছে আছে।
আরেকজন লেখেন, সরকারের দায়িত্ব কোনো ব্যক্তির হাতে দিলে সেটি প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত্তি দুর্বল করে দেয় এবং বিপজ্জনক নির্ভরতা তৈরি করে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ অক্টোবর শুরু হওয়া সরকার অচলাবস্থার কারণে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১০৮ জন ফেডারেল কর্মচারী বরখাস্ত হয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন ও কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে সরকারি ব্যয়ের পরিকল্পনা নিয়ে মতপার্থক্যের জেরেই এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
১৯৮১ সালের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে ১৫ বার, যার প্রতিবারই হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী বেতন ছাড়া কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল