বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাঢ়িপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের নেতা জাহিদুল ইসলাম মিন্টুসহ (৪৮) পৃথক ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। অন্যরা হলেন- মোংলা উপজেলার মহিদুল শেখ (৩০) ও শহরতলির পচাদিঘির সুমন্ত বিশ্বাস (৪৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শামীম হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত রাতে দুই স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে রাঢ়িপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিন্টুকে শিবপুরে তার গ্রামের বাড়িতে প্রথম স্ত্রী ঝরনার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মিন্টু শিবপুর গ্রামের সরদার আবু বক্কারের ছেলে। তাকে হত্যার ঘটনায় প্রথম স্ত্রী ঝরনাকে আটক করা হয়েছে। মোংলা থানার ওসি মো. আনিসুর রহমান জানান, মোংলা উপজেলা সদরের কবরস্থান রোডে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা ওভারটেক করাকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে সোমবার সকালে প্রতিপক্ষরা মহিদুল শেখকে বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে মহিদুলের মৃত্যু হয়। মহিদুল সোনাখালী গ্রামের হান্নান শেখের ছেলে। এ ঘটনায় মাহমুদ ও বনি নামের দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। সদর থানার ওসি মাহমুদ উল হাসান জানান, চিতলমারী উপজেলার বাবুগঞ্জ গ্রামের সতীম চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সুমন্ত বিশ্বাস বাগেরহাট শহরের দশানী এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
উপজেলার বাদেকাড়া পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম রাসেলের বাসায় রাজমিস্ত্রির কাজ করাকালে সোমবার দুপুরে ওই বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
গতকাল সকাল ৭টার দিকে পচাদিঘির পশ্চিম পাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় সুমন্ত বিশ্বাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।