উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় শৈবাল চাষের সম্ভাবনা নিয়ে কুয়াকাটায় দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার কোডেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত এই কর্মশালায় গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় মৎস্যজীবীরা অংশ নেন।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের সহযোগিতায় এআইআরডি কর্মশালাটির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের অধ্যাপক ও উপ-প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মো. রাজীব সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. কামরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, পবিপ্রবি ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আরিফুল আলম, মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের সিনিয়র সহকারী মো. জহিরুল ইসলাম আকন্দ, সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের সহকারী প্রকল্প পরিচালক পলাশ হালদার, এবং এআইআরডি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ সিদ্দিক।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক শৈবাল (ম্যাক্রো অ্যালগি) চাষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এটি শুধু কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে না, বরং উপকূলীয় জনগণের বিকল্প জীবিকার সুযোগও সৃষ্টি করে। পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই শৈবাল চাষের সম্ভাবনা যাচাই করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক