ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হাতে বিভিন্ন সময় আটক ১৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের কারা কর্তৃপক্ষ। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বন্দিদের স্থানান্তরিতও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া আবদুল্লাহ আবু রাফে তার বেঁচে ফেরাকে ‘দুর্দান্ত অনুভূতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ছিলাম কসাইখানায়, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটির নাম ছিল ওফার কারাগার। অনেক তরুণ এখনো সেখানে বন্দী। ইসরায়েলি কারাগারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত কঠিন। সেখানে কোনো বিছানা নেই, খাবারের অবস্থাও ভয়াবহ। সবকিছুই সেখানে কষ্টকর।’
ইসরায়েলি জেলখানার পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত খারাপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন আরেক মুক্ত বন্দী ইয়াসিন আবু আমরা। তিনি বলেন, ‘খাবার, নির্যাতন আর মারধর—সবকিছুই ছিল ভয়াবহ। সেখানে না খাবার ছিল, না পানি। আমি টানা চার দিন কিছু খাইনি। এখানে আমাকে দুটি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, আমি সেগুলোই খেয়েছি।’
সোমবার মুক্তিপ্রাপ্ত আরেক বন্দী সাঈদ শুবাইর জানান, তিনি নিজের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। শিকলবিহীন সূর্যের আলো দেখা এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন শৃঙ্খলমুক্ত। স্বাধীনতা অমূল্য।’
ইসরায়েল প্রায় ২৫০ জন আজীবন ও দীর্ঘমেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দী এবং আরো প্রায় ১ হাজার ৭১৮ জন গাজা যুদ্ধ থেকে আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে। জাতিসংঘ এই দ্বিতীয় দলটিকে ‘বলপূর্বক নিখোঁজ’ হিসেবে বিবেচনা করেছিল।
বিডি-প্রতিদিন/শআ