সদর উপজেলার কিছু অংশ ও কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-৪ সংসদীয় আসন। জুলাই বিপ্লবের পর থেকেই বিএনপির মনোনয়ন পেতে অন্তত পাঁচজন সভাসমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সহসাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম শহীদুজ্জামান বেল্টুর স্ত্রী মুর্শিদা জামান, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যসচিব ও জজ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আকিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম হারুন অর রশিদ। এ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবু তালিব। গণঅধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন এ আসনে ভোটের মাঠে লড়বেন বলে জানা গেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি আহম্মেদ আবদুল জলিল। জাতীয় পার্টি (ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ) সমর্থিত জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি হারুন অর রশীদ পার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে। সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন- আমি বিএনপির পরীক্ষিত কর্মী। মানুষ বিশ্বাস করে আমি নির্বাচিত হলে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা থাকবে না।
হামিদুল ইসলাম হামিদ বলেন- ১/১১ ও আওয়ামী অবৈধ শাসনের পুরো সময়ে কালীগঞ্জবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে ছিলাম। শতভাগ আশাবাদী দল আমাকে মনোনয়ন দেবে।
মুর্শিদা জামান পপি বলেন, বারবার নির্বাচিত সাবেক এমপি মরহুম শহিদুজ্জমান বেল্টু আমার স্বামী। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে কালীগঞ্জে কোনো গ্রুপিং থাকবে না। নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
অ্যাডভোকেট আকিদুল ইসলাম বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ সালের মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে খাল খননে অংশ নিয়েছি। আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে জয়ী হতে পারব। কালীগঞ্জ থানা বিএনপির রাজনীতি ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করব। এ কে এম হারুন অর রশিদ বলেন, দলের দুর্দিনে আন্দোলন সংগ্রামে থেকেছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে দলের সবাইকে একত্রিত করে নির্বাচনে জয়লাভ করব ইনশাল্লাহ। জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা আবু তালিব বলেন, নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত নিরাপদ এলাকা গড়ে তোলা হবে। নারীদের জন্য বিশেষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মানোন্নয়ন, আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি আহম্মেদ আবদুল জলিল বলেন, খুন ও দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সর্বস্তরের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ঘুষ, নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাল্লাহ।