বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলার ১৫ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রংপুর-২ আসনে দিন-রাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। নবগঠিত দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি। জাতীয় পার্টি ও বাম দলগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেতে ১০/১২ জন দলীয় নেতা দৌড়ঝাঁপ করছেন। তারা হলেন- বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পরিতোষ চক্রবর্তী, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল বকুল, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি শাহেদা হাসান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এম আজিজুল হক, সদস্য সচিব কমল লোহানী, মোহাম্মদ আলী (বহিষ্কৃত), মুফাখখারুল ইসলাম মুন প্রমুখ। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ টি এম আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা আশরাফ হোসেন ও খেলাফত মজলিশের প্রার্থী শহিদুর রহমান। বদরগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আমি বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী। দল থেকে যদি মনোনয়ন পাই সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে দলের জন্য কাজ করব।
বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রসুল বকুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণমানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক বজায় রেখে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপি সবসময় মাঠে ছিল, আছে এবং থাকবে।
বদরগঞ্জ পৌর বিএনপির সদস্য সচিব কমল লোহানী বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জেলজুলুম নির্যাততের শিকার হয়েছি। এর পরেও জনগণের পাশে থেকেছি। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব।
মনোনয়নপ্রত্যাশী অধ্যাপক এম আজিজুল হক বলেন, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে সব নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করব।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী এ টি এম আজহারুল ইসলাম শনিবার এক নির্বাচনি সমাবেশে বলেছেন, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব দেশপ্রেমিক ও সৎ নাগরিককে একত্রিত হয়ে ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফুর রহমান সজীব বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। রংপুরের ছয়টি আসনেই গণঅধিকার পরিষদের জনপ্রিয়তা রয়েছে।