অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সচিবালয় আইন, গুমের আইন, দুদক আইন, মানবাধিকার কমিশন আইন- এগুলো আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
গতকাল সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে আয়োজিত ‘অ্যাটর্নি জেনারেল’স অফিস ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম ২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এদিকে অনলাইনে বেলবন্ড (জামিননামা) গ্রহণপ্রক্রিয়া পরীক্ষামূলকভাবে আজ (বুধবার) শুরু হচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্রানসেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা বলেন, অনলাইনে বেলবন্ড গ্রহণ করা হবে। একজন লোকের জামিনের পর ছাড়া পাওয়া পর্যন্ত ১২টি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় বলে শুনেছেন। কোনো ধাপে টাকা দিতে হয়। কোনো ধাপে হয়রানি হতে হয়। আগামীকাল (আজ) পাইলট প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে। এক ক্লিকে আদালতের রায় থেকে এটা (বেলবন্ড) সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে।
সরকারের অনেক টাকা আছে বলে উল্লেখ করে আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের সরকারের অনেক টাকা, বিশ্বাস করেন। প্রবাসী ব্যাংকে, ওখানে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আছে। আমাদের আইজিআর অফিস, রেজিস্ট্রার অফিস, সেখানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আছে। এগুলো কেউ খেয়াল করে না যে, আমরা নিজেদের টাকা ব্যবহার করে নিজেরা অনেক অনেক ভালো কাজ করতে পারি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রিধারী ২৫ জন ছয় মাসের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিচ্ছেন, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম। এই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় রয়েছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, আমি নিজে ৪০ বছর আগে একজন ইয়াং ফ্রেশ ল গ্র্যাজুয়েট ছিলাম। ইন্টার্নশিপও করেছিলাম মনে আছে। আইনজীবীর কাছে বোধ হয় একবার গিয়েছিলাম, আর যাইনি। কিন্তু আমার ইন্টার্নশিপ হয়েছিল। এটা আমি এ জন্য বললাম, আমাদের এখানে আসলে ইন্টার্নশিপ বলতে সে রকম কিছু হয় না। হয়তো আগের যে অবস্থা একটু ভালো হয়েছে। কিন্তু আরও অনেক বেশি ইম্প্রুভ করার প্রয়োজন রয়েছে।