জাতিসংঘের শান্তি মিশনের ৩২টি দেশের সেনাপ্রধানকে নিয়ে ভারতে তিন দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল নয়াদিল্লির মানেকশো সেন্টারে আয়োজিত সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিনিধিদলের প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান, লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মাসুদুর রহমান ও ক্যাপটেন কাজী তৌসিফ সুলতানা অংশ নিয়েছেন। পরে তারা ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ভারত বিশ্বগুরু হতে চায়। তবে দাদাগিরি করার জন্য নয়। ভারত মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতির পূজারী। যেসব রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক বিধি লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে সবার এক হওয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেক রাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, যাদের কাছে উচ্চ প্রযুক্তি রয়েছে তাদের উচিত অন্য দেশকে সাহায্য করা। পরামর্শ, সহযোগিতা, সমন্বয় ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণ প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। তিনি বিভিন্ন দেশের শান্তি বাহিনীকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া অসামরিক সামগ্রী দিয়ে আধুনিক বাহিনী গড়ার প্রস্তাব দেন।
ভারতের প্রথম আয়োজিত এ ধরনের সম্মেলনে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দিবেদী, প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান অনিল চৌহান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল অমর প্রীত সিং এবং শান্তি বাহিনীর উপর সচিব জান পিয়েরে লক্রোইক্স, জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী দূত পর্বথানেনি হরিশ অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে পাকিস্তান ও তুরস্ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।