বগুড়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঘরে ঢুকে দাদিশাশুড়ি-নাতবউকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত ৯টার দিকে শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রধান অভিযুক্ত সৈকত হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গতকাল ভোর ৪টার দিকে শহরের খান্দার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৈকত হরিগাড়ী এলাকার মো. সোহেল ইসলামের ছেলে। নিহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুস বুলুর স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) এবং পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। সম্পর্কে তাঁরা দাদিশাশুড়ি ও নাতবউ। এ ঘটনায় আহত হয় লাইলী বেওয়ার ছেলে বুলবুলের মেয়ে বন্যা আক্তার (১৬)।
নিহতদের স্বজনরা জানান, সৈকত দীর্ঘদিন ধরে বন্যাকে উত্ত্যক্ত এবং বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরিবার তা প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ জানালে সৈকত ক্ষিপ্ত হয়। বুধবার রাতে সৈকত ও তার সহযোগীরা ঘরে ঢুকে প্রথমে হাবিবাকে ও পরে লাইলী বেওয়াকে গলা কেটে হত্যা করে। বন্যা বাধা দিতে গেলে তার পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক লাইলী বেওয়া ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার জানান, পুলিশ অভিযান চালিয়ে সৈকতকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আরও জানান, হত্যায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে প্রাথমিক জবানবন্দি দিয়েছে সৈকত। প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে এ হত্যাকা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।