হামজা দেওয়ান চৌধুরী নেই। তাকে ছাড়াই নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। হামজার না খেলাটা কোনো বিস্ময়কর ঘটনা নয়, একেবারেই স্বাভাবিক। লেস্টার সিটির তো মাথা খারাপ হয়ে যায়নি। প্রীতি ম্যাচ খেলতে তাদের খেলোয়াড়কে অনুমতি দেবে। তাও আবার হামজার মতো খেলোয়াড়। বাফুফের কর্মকর্তারাও ভালো মতো জানতেন প্রীতি ম্যাচে হামজাকে পাওয়া সম্ভব নয়। অযথা মিডিয়াতে ফোকাস পাওয়ার জন্য বলে যাচ্ছিলেন হামজার খেলার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সরাসরি নেপালে উপস্থিত হবেন। বাংলাদেশের নাগরিক বলে হামজাকে জাতীয় দলের প্রতিযোগিতামূলক খেলার অনুমতি দিতে পারে। সামান্য প্রীতি ম্যাচে কেন, লেস্টারের কর্মকর্তাদের তো সাংগঠনিক ভিত রয়েছে। না জানলেও বুঝতে হবে বাফুফে কর্মকর্তাদের।
লেস্টার তো অনুমতি দিল না। এখন তাহলে বাফুফের কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করুক। যাক বাফুফের কর্মকর্তাদের আবার ভাগ্যবানও বলা যায়। তারা তো বলতেই পারে ইনজুরির কারণে লেস্টার ঝুঁকি নেয়নি। জাতীয় দলের ম্যানেজার আমের খান বলেছেন, মূলত
ইনজুরির জন্য হামজা আসছেন না। বাস্তবে কি তাই ঘটেছে?
ইনজুরি অবশ্যই বড় ফ্যাক্টর। হামজা ইনজুরি না হলেও নেপালে যেতে পারতেন না। সামান্য প্রীতি ম্যাচ খেলতে তাদের খেলোয়াড়কে ছাড়বে কে? বাফুফে থেকে তো বলা হচ্ছে লেস্টারের কাছে আগে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। যদি তাই হয় এতদিন কি লেস্টার নীরব ছিল? হামজাকে চাইলে লেস্টার অল্পদিনের মধ্যে জানিয়ে দিত হ্যাঁ কিংবা না। আসলে সব কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ। যাক আসল কথা হচ্ছে হামজা ছাড়াই নেপালে খেলবে বাংলাদেশ।