জাতীয় ক্রিকেট থেকে বাদ পড়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকে এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তার ওপর ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ঢাকা ক্রিকেট লিগ এখন শঙ্কার মুখে। বিসিবি নির্বাচনের সময় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। নির্বাচন পেছানোর দাবিতে ৪ অক্টোবর ঢাকার ক্লাব সংগঠকরা ক্রিকেট লিগ বর্জনের দাবি জানান। ৪৫টি ক্লাবের এমন দাবিতে হতাশ হয়ে পড়েন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দল ছাড়া অধিকাংশ ক্রিকেটারই ভরণ পোষণ করেন ঢাকার ক্রিকেট খেলে। ক্লাবগুলোর এমন কঠোর অবস্থানে নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেটারদের সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। কোয়াবের সভাপতি জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন সমস্যার সমাধান চাইছেন।
মিডিয়ার মুখোমুখিতে গতকাল মিঠুন জানিয়েছেন, বর্জনের হুমকি দেওয়া ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন, ‘আমরা জানি বিসিবি নির্বাচন নিয়ে বিসিবি ও ক্লাবগুলোর মধ্যে একটি শীতল লড়াই রয়েছে। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা বিষয়টির সমাধান চাই। আমরা ওই প্যানেলটির সঙ্গে বসতে চাই, যারা খেলা বর্জনের হুমকি দিয়েছেন। আমরা তাদেরকে বলতে চাই, তারা যেন ক্রিকেটারদের কথা চিন্তা করেন। আপনারা সবাই জানেন, ঢাকা ক্রিকেট লিগের ক্লাবগুলোতে ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, স্টাফসহ প্রায় দুই হাজার ব্যক্তির আর্থিক ভরণ পোষণ জড়িত। যদি লিগ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দুই হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়ে যাবে।’
ঢাকা ক্রিকেট লিগে অংশ নেয় ৭৬টি ক্লাব। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে ১২ ক্লাব, প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগে ২০টি করে ৪০টি এবং তৃতীয় বিভাগে ২৪টি ক্লাব অংশ নেয়। ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ছাড়া প্রিমিয়ার ক্রিকেটের বাকি ক্লাবগুলো লিগ খেলতে প্রস্তুত। প্রথম ও তৃতীয় বিভাগের ক্লাবগুলো খেলতে আগ্রহী। দ্বিতীয় বিভাগের বেশ কয়েকটি ক্লাব লিগ বর্জনের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। সিসিডিএম চেয়ারম্যান ও বিসিবি পরিচালক আদনান রহমান দীপন অবশ্য লিগ আয়োজন করতে বদ্ধ পরিকর, ‘ঢাকার ক্রিকেট লিগ আয়োজনে বিসিবির অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমরা লিগ আয়োজন করব স্ক্যাজুয়ার অনুযায়ী।’