বসুন্ধরা কিংস শুধু নিজের সাফল্য নয়, ফুটবল উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই। এবার যা করছে তা দেশের ফুটবলে মাইলফলক বলা যায়। জনপ্রিয় এ খেলার মান উন্নয়ন ও দেশে নতুন ফুটবলার সন্ধানের লক্ষ্যে বসুন্ধরা কিংস খুদে খেলোয়াড়দের জন্য অনুশীলন ক্যাম্প চালু করে; যা ‘বসুন্ধরা কিংস একাডেমি’ নামে পরিচিত। গত বছর এ কর্মসূচি শুরু হয়। ব্যাপক সাড়া পড়ে এতে। বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে যেন কচিকাঁচার মেলা বসত। কচি বয়স হলেও ছেলেরা অনুশীলনের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। দেখতে দেখতে এ একাডেমির কার্যক্রম এক বছর হয়ে গেল।
খুদে ফুটবলাররা কি শুধু অনুশীলন করেই যাবে? তাদের তো উৎসাহ দিতে হবে। কিংস কর্তৃপক্ষও বিষয়টি মাথায় রাখেন। এক বছর পরই একাডেমির ছেলেদের টুর্নামেন্ট মাঠেও গড়ায়। এতে শুধু খেলোয়াড় নয়, অভিভাবকদেরও আনন্দের সীমা নেই। আর এটাই স্বাভাবিক, ছেলেরা এত দিন ধরে অনুশীলন করছে কিছু শিখছে কি না বা কোচদের নজর কাড়তে পারছে কি না তা-ও তো দেখতে হবে। বসুন্ধরা কিংস খুদে ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে ব্যতিক্রম এক টুর্নামেন্ট করছে; যা দেখে অভিভাবকরা খুশি। কিংস একাডেমি করার পেছনে মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ভবিষ্যৎ ফুটবলার খুঁজে বের করা। আর তা যখন একেবারে কচি বয়স থেকেই, তাতে আরও ভালোভাবে খেলোয়াড় তৈরি করা যাবে। যারা দেশের ফুটবলেও ভূমিকা রাখতে পারবে। বিদেশের বিখ্যাত ক্লাবগুলো যেভাবে ঘষে মেজে ফুটবলার তৈরি করে বসুন্ধরা কিংসও সে পথ অনুসরণ করছে। জুনিয়র কিং সন্ধানেই নেমেছে বসুন্ধরা কিংস। যেভাবে এগোচ্ছে তাতে নতুনদের খোঁজ মিলবে আশা করা যায়।
বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান যা বলেছেন, তা তো স্বস্তির খবর। এরই মধ্যে একাডেমির বেশ কয়েকজনকে কিংসের মূল দলের অনুশীলনে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। কিংসে দেশের বিখ্যাত ও বিদেশি ফুটবলাররা খেলেন। তাঁদের সঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ যখন পেয়েছে তখন নিশ্চয়ই কোচেরা ভালো কিছু পেয়েছেন। একেবারে কচি বয়স তো তাই তাদের জুনিয়র কিং বলেই অনেকে ডাকছেন। বসুন্ধরা তৃণমূল পর্যায়ে যে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে, তা থেকে কয়েকজন চোখে পড়ার মতো নৈপুণ্য দেখাবে। এদের নিশ্চয়ই আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এভাবেই তো বার্সেলোনা মেসি বা ইয়ামালকে খুঁজে পেয়েছে। বসুন্ধরা কিংসও নিশ্চয় পাবে।