লড়াইটা অলিম্পিক বা অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। তবু ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের কমতি নেই। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল আগেও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে খেলেছে। প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। এবার যুবা দলকে ঘিরে যে আলোচনা আগে কখনো তা দেখা যায়নি। জাতীয় দল ঘিরেও এতটা আলোচনা হয়নি। এই প্রথম অনূর্ধ্ব-২৩ দলে প্রবাসী ফুটবলারের দেখা মিলবে। তাও আবার তিনজন। জাহান আহমেদ, ফাহমিদুল ইসলাম ও কিউবা মিচেল চূড়ান্ত স্কোয়াডে রয়েছেন। চোখ থাকবে মিচেলের দিকেই। বাংলাদেশের জার্সি পরার আগেই মিচেল যেন তারকা বনে গেছেন। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি লিগে প্রিলিমিনারি রাউন্ডে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন।
জাতীয় দল না হলেও প্রতিযোগিতামূলক কোনো খেলায় বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চড়ছে তার। আজই শুরু হচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাই পর্ব। ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশ স্বাগতিক ভিয়েতনামের মুখোমুখি হবে। সন্ধ্যায় শুরু হবে ম্যাচ। গ্রুপে অপর দুই দল ইয়েমেন ও সিঙ্গাপুর। মোরসালিন জাতীয় দলের নিয়মিত খেললেও আজকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ অলিম্পিক দল মাঠে নামবে। তবে ম্যাচের আগেই বাংলাদেশ শিবিরে দুঃসংবাদ নেমে এসেছে। হেড কোচ সাইফুল বারী প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত। তাকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হোটেলে তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে। দলীয় ম্যানেজার শাহীন হাসান ভিযেতনাম থেকে জানিয়েছেন টিটুর জ্বর ১০৪ ডিগ্রি। এমন অবস্থায় তার আজ দায়িত্ব পালনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। সহকারী কোচ মূল কোচের দায়িত্বে থাকতে পারেন।
খেলোয়াড়রা অবশ্য সুস্থ আছেন। ইতালি থেকে ফাহমিদুলও ভিয়েতনামে উড়ে এসেছেন। ভিয়েতনামের বিপক্ষে না দেখা গেলেও পরের দুই ম্যাচ খেলবেন। প্রশ্ন হচ্ছে শুরুটা কেমন হবে। বাংলাদেশের প্রস্তুতি একেবারে খারাপ হয়নি। বাহরাইনের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচও খেলেছে। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বেলায় সচরাচর দেখা যায় না। হেড কোচ নেই খেলোয়াড়রা মানসিক চাপে থাকবে কি না সেটাও কথা। ভিয়েতনাম তুলনামূলক শক্তিশালী হলেও ভয়ংকর বলা যাবে না। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তারা ১১৩ আর বাংলাদেশ রয়েছে ১৮৪তম স্থানে। স্বাগতিকদের হারিয়ে আসর শুরু করলে বাকি দুই ম্যাচে উজ্জীবিত হয়েই মাঠে নামবেন মোরসালিনরা। প্রশ্ন জয় কি সম্ভব?
অনূর্ধ্ব-২৩ দল কখনো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলেনি। এবার কি ইতিহাস লিখতে পারবে? শুরুটা আসলে কেমন হবে তারপর আঁচ করা যাবে সম্ভব কি না। মোরসালিন বলেছেন, ‘উদ্বোধনী নয় প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য ফাইনাল। সেরাটা দিয়েই আমরা লড়ব। আশা আছে ভালো কিছু করার। ম্যাচ বাই ম্যাচ পরিকল্পনা করে খেলতে হবে। কিউবা মিচেল, ফাহমিদুল ও জাহান থাকায় দলের শক্তি বেড়েছে। কঠিন মিশন আবার অসম্ভবও নয়। দোয়া করবেন আমাদের জন্য।’
৬ সেপ্টেম্বর ইয়েমেন ও ৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ। তিন দেশই বাংলাদেশের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে। মোরসালিনরা কি পারবেন আফঈদাদের মতো প্রমাণ করতে র্যাঙ্কিং কোনো ফ্যাক্টর নয়। সব ভয়ই জয় করা সম্ভব।