সপরিবারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শান্তিপুর গ্রামে বসবাস করেন মফিজ মিয়া। তার বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে পাখিও বাস করে। রয়েছে ৫ শতাধিক পাখি। পেছনের হতাশার গল্প ছাপিয়ে পাখি পালন করেই জীবনের গতিপথ বদলেছেন মফিজ। সফল এই উদ্যোক্তা এখন মাসে আয় করেন লাখ টাকা। স্থানীয়ভাবে তার পরিচিত গড়ে উঠেছে ‘পাখি মফিজ’ নামে। মফিজ প্রায় দুই যুগ আগে সংসারের হাল ধরতে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়। সুবিধা করতে না পেরে অল্প দিন পরেই দেশে ফেরেন। সময় কাটাতে কেনেন দুটি পাখি। কিছুদিন পর আরও কিছু পাখির ছানা কিনে লালন পালন করে সেগুলোকে বাজারে বিক্রি করেন। এভাবে প্রসারিত হতে থাকে তার পাখির ব্যবসা। সঙ্গে চলে পশুপালনও। এখন তার সংগ্রহে কবুতরসহ ৫ শতাধিক পাখি আছে। বিভিন্ন এলাকার পাখিপ্রেমীরাই তার ক্রেতা। এতে মাসে তার আয় হয় লাখ টাকা। এভাবেই জীবিকার পরিবর্তন ঘটান তিনি।
মফিজ মিয়া বলেন, মালয়েশিয়া থেকে ফিরে খুব হতাশ ছিলাম। শখের বশে দুটি পাখি কিনি। কিন্তু পাখি জীবিকা অর্জনের মাধ্যম হয়ে উঠবে তা কখনো ভাবিনি। এখন প্রতি মাসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার পাখি বিক্রি করি, আয় হয় লক্ষাধিক টাকা। আমার এখান থেকে ময়না ও টিয়া পাখি সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়। যেসব পাখি কথা বলতে পারে, সেগুলোর দাম বেশি। সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকায় টিয়া ও ময়না বিক্রি হয়েছে।
কসবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক মাহমুদ বলেন, মফিজ মিয়া পাখি পালনের একজন অনুকরণীয় ব্যক্তি। যখনই পরামর্শ দরকার হয় আমরা দিয়ে থাকি।