সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পিপড়াকান্দা ও বংশিকুন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে পিপড়াকান্দা সেতুর নিচে মারা যান শামছুন্নাহার বেগম (৭০)। তিনি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত আজিজ মিয়ার স্ত্রী। তিনি পরিবারের পাঁচ সদস্যকে নিয়ে ধর্মপাশা উপজেলার স্বরসতীপুর গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাচ্ছিলেন।
অন্যদিকে, সকালে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নওনাগর গ্রামের পাশের পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতরা হলেন-নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার ঘিলাচৌকা গ্রামের বাসিন্দা বিধবা বিলকিস আক্তার (৩০) ও তার তিন বছর বয়সী মেয়ে বিথী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে স্বরসতীপুর থেকে একটি নৌকা করে ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে মধ্যনগরের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে পিপড়াকান্দা ব্রিজের নিচে পৌঁছালে প্রবল স্রোতে নৌকাটি হঠাৎ করে ডুবে যায়। অধিকাংশ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও শামছুন্নাহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয়রা তল্লাশি চালিয়ে নৌকার ভেতর থেকে তার উদ্ধার লাশ উদ্ধার করেন।
অপরদিকে, সকালে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের নওনাগর গ্রামের পানিতে ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তারা দুজনই সুনামগঞ্জের আলমপুর ও আশপাশের এলাকায় ভিক্ষা করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভিক্ষা শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন বিলকিস। ধারণা করা হচ্ছে, ফেরার পথে নওনাগর গ্রামের পাশের একটি ডুবে যাওয়া রাস্তা পার হওয়ার সময় মা ও মেয়ে পানিতে তলিয়ে যান। শুক্রবার সকালে এক পথচারী ডুবন্ত রাস্তায় মা-মেয়ের মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে এলাকাবাসী মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন।
মধ্যনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ইসলাম জানান, পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই