নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে সফলভাবে শেষ হলো বেয়ার সামিট এবং ন্যাশনাল সেমিকন্ডাকটর সিম্পোজিয়াম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এজ প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘টেকসই সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম গঠনে ইন্টারঅপারেবিলিটি, সাইবার নিরাপত্তা, নৈতিক শাসনব্যবস্থা এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশকে নিজেদের ফাউন্ডেশনাল টেকনোলজি, বিশেষ করে বাংলা ভাষাভিত্তিক এলএলএম ও বিশ্বস্ত সেমিকন্ডাক্টর ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করতে হবে।’
আমেরিকার পারডিউ ইউনিভার্সিটি প্রফেসর মুহাম্মাদ মোস্তাফা হুসেইন বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো একটি সাহসী ও দৃঢ় মনোবলের দেশ স্থানীয় মেধাকে বিকশিত করে, বৈশ্বিক সহযোগিতা আকর্ষণ করে এবং প্রযুক্তিতে আত্মনির্ভরতা নিশ্চিত করেই ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন একটি প্রযুক্তিনির্ভর জাতীয় অগ্রযাত্রার সূচনা, যেখানে আগামী দিনের জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলার ভিত রচিত হলো।’
১৬ ও ১৭ জুলাই আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নেন দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিবিদ, নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের খ্যাতনামা সেমিকন্ডাক্টর প্রতিষ্ঠান মিডিয়াটেক, এসকে হাইনিক্স, স্যানডিস্ক, গ্লোবাল ফাউন্ডারস, টোকিও ইলেকট্রনিক্স, ইনোভেক্সের শীর্ষ কর্মকর্তারা, প্রবাসী বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ, একাডেমিয়া এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা।
বিডি প্রতিদিন/কেএ