গাজায় নিজেদের বর্বরতা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। সোমবার (১৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত চালানো ইসরায়েলি হামলায় ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৪০ জন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়- সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত হামলার পর গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪২ হাজার ৪০৯ জন। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট আহত হয়েছেন ৯৯ হাজার ১৫৩ জন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন, যাদের উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় তাদের নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। গাজা উপত্যকায় চলমান অবরোধের কারণে প্রায় সমগ্র জনসংখ্যা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার ফলে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার কর্তৃক মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময়ের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, কারণ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করার আগ পর্যন্ত গাজায় অভিযান চলবে এবং নিজের ভূখণ্ড ও নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রশ্নে ইসরায়েল কোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ইসরায়েলি বাহিনীর এক বছরের অভিযানে গাজায় নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী এবং বেসামরিক লোকজন।
সূত্র- আনাদলু এজেন্সি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ