খুলনায় শুক্রবারের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ৫ হাজারের বেশি অজ্ঞাত জনকে। কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় লবণচরা থানায় মামলা হয়। লবণচরা থানা পুলিশের এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়। শুক্রবার বিকালে গল্লামারী মোহাম্মদনগর এলাকায় সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া নাশকতা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে খুলনা সদর থানা এবং হরিণটানা থানায় আরও দুটি মামলা হয়। এ সময় মামলায় অজ্ঞাত ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে আসামি করা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক তিনটি মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে গতকাল দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুমন ঘরামীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতাল থেকে সুমনের মৃতদেহ খুলনা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সেখানে গার্ড অব অনার শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হয়। এ সময় পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কনস্টেবল সুমন নিহতের ঘটনায় অনেককে অশ্রুসিক্ত দেখা যায়।
কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ১ লাখ টাকা এবং মৃতদেহ সৎকারে আরও ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও নগদ ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। সুমনের পরিবারে কেউ শিক্ষিত থাকলে পুলিশে চাকরির উপযোগী থাকলে তাকে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। পারিবারিক সূত্র জানায়, বাগেরহাটের কচুয়ায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।