নিবন্ধন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ভিড় জমাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। এদের মধ্যে ইতঃপূর্বে যাদের দলের নিবন্ধনের আবেদন বাতিল হয়েছিল তারাও রয়েছেন। গতকাল নির্বাচন কমিশনে ভিড় জমান লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণ অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা-কর্মীরা। এর আগে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি) নিবন্ধন প্রাপ্তির পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা হট্টগোল করেন। এমনকি ইসি সচিবের দপ্তরের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সোমবার গণ অধিকার পরিষদ ও নাগরিক ঐক্যকে নিবন্ধন দিয়েছে হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এ ছাড়া সরকার পরিবর্তনের পর অনেকেই নিবন্ধন পাচ্ছে। তাই দলগুলোর নেতারা মনে করছেন সুযোগ এসেছে ন্যায়বিচার পাওয়ার। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সেক্রেটারি তাসবীর লস্কর বলেন, ‘গত বছর আমরা নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিলাম। প্রাথমিক বাছাইয়ে যে ১২টি দল রাখা হয়েছিল, সে তালিকায় আমরাও ছিলাম। তবে এক পর্যায়ে আমাদের গঠনতন্ত্রের একটি ধারা সংশোধনের জন্য বলে, আমরা সেটি সংশোধন করে জমাও দিই; তার পরও আমাদের বাদ দেওয়া হয়।’ ইসিতে বর্তমানে নিবন্ধিত দল ৪৭টি। গত বছর প্রাথমিক বাছাইয়ে থাকা ১২টি দলের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুটি এবং নির্বাচনের পর মোট তিনটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে ইসি।
ইসিতে হট্টগোল : নুরুল হক নূরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের (জিওপি) নিবন্ধন প্রাপ্তির পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের নেতারা হট্টগোল করেন। এমনকি ইসি সচিবের দপ্তরের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন নির্বাচন ভবনে দায়িত্বরত সেনা সদস্যরা। সোমবার দুপুরে নূরের দল নিবন্ধন পাওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পরই গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে বেশকিছু নেতা-কর্মী নির্বাচন ভবনে আসেন। তাঁরা ইসি সচিবের দপ্তরেও প্রবেশ করেন। সেখানে অযৌক্তিকভাবে সোমবারের মধ্যেই নিবন্ধন দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন, যে ঘটনাকে ‘সীমা অতিক্রম’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন ইসি সচিব শফিউল আজিম। তিনি বলেন, ‘ঠিক অবরুদ্ধ নয়, অনেকটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। একজনের আচরণ লিমিট ক্রস করেছে। বিষয়টি আমরা সরকারকেও জানিয়েছি। এভাবে তো হয় না। আমরা বলেছি একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সে প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু সেটা তারা মানতে নারাজ।’