সোশ্যাল মিডিয়ায় একবার ঢুকলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, খেয়ালই থাকে না। পড়াশোনা ও অন্যান্য অনেক কাজের ক্ষতি হয় এতে। অনেকবার হয়তো ভেবেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটাবেন না, তবে তা আর হয়ে ওঠেনি। সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কমানোর বেশ কিছু উপায় আছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সে সব-
>> একবারে এ কাজটি করতে যাবেন না। ধীরে ধীরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় কমিয়ে ফেলুন। কারণ কোনো আকর্ষণই একবারে আচমকা পুরোটা কমিয়ে ফেলা যায় না। তাই সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে ধীরে ধীরে চেষ্টা করে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি নিজের আকর্ষণ কমাতে হবে।
>> আপনার স্মার্টফোনে থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ইনস্টল করে দিন। এর ফলে সেগুলো দেখার ঝোঁক কমবে। আর আপনার ফোনেও স্টোরেজ বজায় থাকবে। ফোন ধীরগতিতে কাজ করবে না। প্রয়োজনীয় অ্যাপই রাখুন ফোনে।
>> অনেকের গেম খেলার নেশা থাকে। চেষ্টা করুন মোবাইলের পরিবর্তে অন্য ডিভাইসে গেম খেলার। কারণ মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে অনেক সময়েই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের মাধ্যমে অনেকে একসঙ্গে মিলে গেম খেলার প্রবণতা দেখা যায়। এর ফলে আকর্ষণ আরও বাড়ে। তাই গ্রুপে গেম খেলা থেকে দূরে থাকুন।
>> সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন তবে সময় মেপে। আপনার বাস্তব জীবন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আলাদা, এটা মাথায় রাখতে হবে। বাস্তবের জীবন, ব্যক্তিগত জীবন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে যতটা দূরে রাখবে ততটাই নিরাপদ থাকবেন আপনি।
>> সোশ্যাল মিডিয়া আপনি যতটা সময় ধরে ব্যবহার করেন একদিনে তা একদম কমিয়ে ফেলতে যাবেন না। ধীরে ধীরে সময় কমাতে শুরু করুন। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে টাইমার দিয়ে রাখুন। তাহলে বুঝতে পারবেন কতটা সময় আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন।
>> সারা দিনে অন্যান্য কাজে মন দেওয়া জরুরি। তা হলে ফোন, ট্যাব, সোশ্যাল মিডিয়া এগুলো দেখার সেভাবে সময় পাবেন না। ফলে আপনা আপনিই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আকর্ষণ কিছুটা কমে যাবে।
>> দৈনন্দিন স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে। অর্থাৎ সারা দিন আপনি কতক্ষণ মোবাইল ঘাঁটেন সেটা আগে দেখে নিন। যারা বেশিক্ষণ ফোন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তাদের অবিলম্বে স্ক্রিন টাইম কমাতে হবে। যদি আপনি স্ক্রিন টাইম কমাতে পারেন তাহলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি ঝোঁক কমবে।
>> রাতে ফোন নিয়ে ঘুমোতে যাবেন না। ওই সময়েই সবচেয়ে বেশি সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা হয়। তাই বিছানায় ফোন সঙ্গে নিয়ে একেবারেই যাবেন না। রাতে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে থেকে ফোন দূরে রেখে দিন।