► নিঃসন্দেহে সাইবার নিরাপত্তা আগামী বছর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে যাচ্ছে...
► কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ এবং এবং ডেটা সেন্টারের চাহিদা আগামীতে অনেক বাড়বে...
► প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে শিল্পকে আধুনিক হতে হবে...
দরজায় কড়া নাড়ছে- নতুন বছর। যাকে নিয়ে সবার মাঝেই থাকে নতুন প্রত্যাশা। আর ২০২৫ সালের দিকে তাকিয়ে অনেক প্রযুক্তিবিদ মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) সর্বোত্তম এবং নৈতিক ব্যবহারের প্রতি অব্যাহত মনোযোগ দেখতে পাচ্ছেন, তবে AI-ই একমাত্র আলোচ্য বিষয় নয়। আগামী বছর জ্বালানি এবং ইউটিলিটি, টেলিকমিউনিকেশন এবং উৎপাদন শিল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বেশ পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। যেখানে শিল্প পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রযুক্তি উন্নয়নও চালিয়ে নিয়ে যাবে। তাই শিল্প খাতের প্রযুক্তি নেতাদের বর্তমান পরিস্থিতি ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৫ সালেও আধুনিক বিশ্ব প্রযুক্তিগতভাবে ক্রমাগত উন্নত হতে থাকায়, বেশ কয়েকটি প্রযুক্তির প্রতি ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ বেড়ে চলেছে। যার মূলে- আছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)। এমন প্রযুক্তি নিয়ে শিল্পোদ্যোক্তারা ছোট-বড় নানা উপায়ে শিল্পগুলোকে পুনর্গঠন করবে। নিঃসন্দেহে সাইবার নিরাপত্তা আগামী বছরগুলোয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠবে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তবে প্রচলিত চ্যালেঞ্জগুলোও রয়ে যাবে। যেমন : নতুন প্রযুক্তি, উদীয়মান হুমকি এবং নিয়মাবলি এসব জটিলতাকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অংশীদারদের মধ্যে ও প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার প্রয়োজন বেড়ে যাবে। শুধুই কী শিল্প খাত! জ্বালানি এবং ইউটিলিটি, টেলিকমিউনিকেশন এবং উৎপাদন শিল্পে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং পরিবর্তনশীল শিল্প প্রেক্ষাপটে সাহসী ভূমিকা এবং সমন্বিত প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন সম্ভব না হলে বাজারে টিকে থাকা অসম্ভব। এ ছাড়া দক্ষতার অভাবে শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনা, তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ ((IP) এবং প্রক্রিয়াকরণ চেইনের মধ্যে গ্রাহকের ডেটা সুরক্ষিত, বর্তমান প্রযুক্তি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ক্ষমতা ঝুঁকির মধ্যে থাকবে।
আজকের বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন জ্বালানি ও ইউটিলিটি সরবরাহকারীদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে চাপের মুখে ফেলছে। এর প্রতিক্রিয়ায়, কোম্পানিগুলো বিভিন্ন জ্বালানি উৎসের দিকে ঝুঁকছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI)) মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ ও টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। যার মধ্যে Distributed Energy Resources (DER) এবং Virtual Power Plants (VPP) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে, ৭৫ শতাংশ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছেন এবং মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সাইবার আক্রমণ মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
তাই প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে, আগামী বছর এবং ভবিষ্যতে প্রতিটি শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদনশীলতায় উন্নতি সাধন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিরাপত্তা এবং নির্ভরশীলতা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিজেদের কর্মীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।