দাপটের সঙ্গে ড্র করেছিল গল টেস্ট। সেঞ্চুরি করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরির বিরল রেকর্ড গড়েছিলেন নাজমুল। অথচ কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডে (এসসিজি) তার ছিটেফোঁটা দেখা যায়নি নাজমুলদের ব্যাটিংয়ে। গতকাল তৃতীয় দিন পর্যন্ত ব্যাটিংয়ের যে চিত্র, তাতে একটিও হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস নেই। কলম্বো টেস্টে এমন পরিস্থিতি যখন টাইগারদের, তখন ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গতকাল শ্রীলঙ্কা গেলেন ১০ ক্রিকেটার। সফরে ওয়ানডে সিরিজের খেলাগুলো যথাক্রমে ২ জুলাই ও ৫ জুলাই কলম্বোয় এবং ৮ জুলাই পাল্লেকেলেতে। দলকে নেতৃত্ব দেবেন স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। দুই দেশ এখন পর্যন্ত পরস্পরের বিপক্ষে ৫৭টি ওয়ানডে খেলেছে। বাংলাদেশের জয় ১২টি এবং হার ৪৩টি। দুই দল সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ১৫ মাস আগে। গত মার্চে দুই দল ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। টাইগাররা প্রথম ম্যাচ ৬ উইকেটে জেতার পরের ম্যাচ হেরে যায় ৩ উইকেটে। সিরিজ মীমাংসার ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতে টাইগাররা। দুই দলের সর্বশেষ ১০ ওয়ানডেতে হার-জিতের ব্যবধান ৫টি করে। ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গতকাল ঢাকা ছাড়েন তানজিম হাসান সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, রিশাদ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মোহাম্মদ নাঈম, তানভির ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানসহ বাকি সদস্যরা। টেস্ট সিরিজ শেষে দেশে ফিরে আসবেন মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, ইবাদত হোসেন, হাসান মুরাদ। সেখানে থেকে যাবেন অধিনায়ক মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, জাকের আলি অনিক, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড : মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম শেখ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, লিটন দাস, জাকের আলি অনিক, শামীম পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।