তীব্র তাপপ্রবাহে আরব বিশ্বের পাঁচ দেশে একযোগে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বনভূমি, কৃষিজমি ও চারণভূমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সি জানিয়েছে, গতকাল বুধবারও ইরাক, আলজেরিয়া, লেবানন, সিরিয়া ও মরক্কো–তে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
ইরাক :
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দিস্তান প্রদেশের হালাবজা জেলায় রোববার সন্ধ্যায় দাবানল শুরু হয়। এতে শত শত হেক্টর জমি, ছয়টি গ্রামের তৃণভূমি ও চারণভূমি পুড়ে যায়, বহু পশুপাখি মারা যায়। হালাবজা সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবেদিন আব্দুলরহমান জানান, প্রায় ৫ হাজার দুনাম (১ হাজার ২৩৫ একর) বন ও বাগান ধ্বংস হয়েছে এবং দুজন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন। হালাবজার গভর্নর নুখশা নাসিহ জানান, সরঞ্জাম ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বিলম্ব হয়।
আলজেরিয়া :
দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ১৮টি দাবানল ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে ৭টি ছিল পূর্বাঞ্চলীয় বেজাইয়ায়। ১০টির আগুন নেভানো হয়েছে, ৪টি এখনো জ্বলছে এবং ৪টি নজরদারিতে রয়েছে। দাবানল ঠেকাতে সরকার ১৫টি অগ্নিনির্বাপণ বিমান ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে এবং ঝুঁকির কারণে অক্টোবর পর্যন্ত বনে ক্যাম্পিং ও বারবিকিউ নিষিদ্ধ করেছে।
লেবানন ও সিরিয়া :
লেবাননের সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ১০২টি দাবানল মোকাবিলা করেছে, যার মধ্যে ৭৪টি ছিল বন, তৃণভূমি ও বসতিতে। সিরিয়ার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, লাতাকিয়ার সালমা শহরের কার্ট এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তীব্র বাতাস ও কঠিন ভূখণ্ড সত্ত্বেও দমকলকর্মীরা আগুন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সক্ষম হন। গত সপ্তাহে দেশটির চারটি প্রদেশে ১০টি দাবানল নেভানো হয়েছে।
মরক্কো :
সোমবার মরক্কোর তেতুয়ান প্রদেশের দোয়ার আল-ঘরারসা বনে দাবানল ছড়ায়। পরে তা দোয়ার বেনি কারার কৃষিজমিতে ছড়িয়ে পড়ে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ২০২৪ সালে মরক্কোতে ৩৮২টি দাবানল ঘটে, এতে প্রায় ৮৭৪ হেক্টর বনভূমি পুড়ে যায়—যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৮২ শতাংশ কম।
সোর্স : আনাদলু এজেন্সি