চট্টগ্রামকে আধুনিক করতে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নগরের হালিশহরে শুরু হয় ওয়াসার প্রথম স্যুয়ারেজ প্রকল্পের জোন-১ এর কাজ। ১৬৩ একর জায়গায় ওই প্রকল্পে বর্তমানে কাজের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীতে পৃথক করে আর কোনো সেপটিক ট্যাংক থাকবে না। প্রতিটি বাড়ির টয়লেট, রান্নাঘর ও গোসলখানার বর্জ্য পাইপলাইনের মাধ্যমে সরাসরি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে যাবে। সেখানে বর্জ্য পরিশোধনের পর বিশুদ্ধ পানি বঙ্গোপসাগরে নিঃসরণ করা হবে। কঠিন বর্জ্য পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। কিন্তু বিল বকেয়া থাকায় গত মে মাসে কাজ বন্ধ করে দেয় উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। গত ১৬ অক্টোবর থেকে কাজ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে উপঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। চট্টগ্রাম ওয়াসা ৪ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কার্যাদেশ পায় দক্ষিণ কোরিয়ার তাইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিল পরিশোধ ছিল। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি অক্টোবর পর্যন্ত কাজের বিল বন্ধ। এ নিয়ে গত ৮ অক্টোরব কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয় ১৫ অক্টোবরের মধ্যে অর্থসংক্রান্ত বিষয়টি সমাধান না করলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় গত ১৬ অক্টোবর থেকে কাজ বন্ধ। প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে মূল কার্যাদেশ পাওয়া কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানকে টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এখন তারা যদি উপঠিকাদারদের টাকা না দেয় বিষয়টা আমাদের দেখার নয়।