বিচারককে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও জেলা জামায়াতের রুকন (সদস্য) অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিনকে দলীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে অভিযোগ তদন্তে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের কমিটি। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমে পেশাগত অনিয়মের খবর প্রকাশের পর জেলা ও পৌর জামায়াত নেতারা জরুরি সভায় বসেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম আল কায়ছারী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে বিষয়টি জেনেছি। সরাসরি নিশ্চিত না হলেও জেলা আইনজীবী সমিতি যেহেতু তার সদস্যপদ স্থগিত করেছে তাই আমরাও একই পদক্ষেপ নিয়েছি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’ উল্লেখ্য, কলাপাড়ায় সংঘটিত একটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন নিশ্চিত করতে বিচারকের বাসায় ৫০ হাজার টাকা ও মামলার নথি পাঠানোর অভিযোগ ওঠে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে জামিনের জন্য তিনি বিচারকের কাছে তদবির করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিলুফার শিরিন বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।