ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের কিংবদন্তি অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবনী দেখা যাবে বড়পর্দায়। দীর্ঘদিন আলোচনায় ছিল মহারাজার বায়োপিকের পরিকল্পনা। জানা গেছে, সৌরভের বায়োপিকে দেখা যাবে সারা আলি খান-আদিত্য রায় কাপুরকে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সারা-আদিত্য জুটির নতুন সিনেমা ‘মেট্রো ইন দিনো’র প্রোমোশনের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। ছবির প্রোমোশন শেষে রাতে সৌরভ গাঙ্গুলীর বাড়িতে জমে নৈশভোজ। মেনুতে ছিল মাছ, সঙ্গে আলুপোস্ত আর আমের বিশেষ আয়োজন।
রাত সোয়া ৯টার দিকে, বেহালার বীরেন রায় রোডে সাংবাদিকদের ভিড়। বৃষ্টিও রুখতে পারেনি মিডিয়া কর্মীদের উৎসাহ। প্রথমে কালো গাড়িতে পৌঁছান সৌরভ। কিছুক্ষণ পরেই সাদা বিএমডব্লিউ চড়ে হাজির সারা-আদিত্য। গেটের সামনে নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় ক্যামেরার ফ্ল্যাশ আর প্রশ্নের ঝড়।
নৈশভোজ শেষে রাত ১১টার দিকে হাসিমুখে বেরিয়ে এলেন সারা আলি খান আর আদিত্য রায় কাপুর।
সারা বললেন, “দাদার বাড়ির রান্নার কথা তো আলাদা করে বলতেই হয়। আর পরিবারটাও ঠিক ততটাই অসাধারণ। দাদার কাছ থেকে শুনলাম আমার ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুর আর দাদু মনসুর আলি খানের স্মৃতির গল্প। মনটা ভরে গেল।”
বক্তব্যের ফাঁকে সৌরভের পাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আদিত্য। সৌরভের বাড়ির আড্ডায় কী কী গল্প হল? আদিত্য বললেন, “দাদা মানেই ক্রিকেট। তার মুখে ২২ গজের এত গল্প শুনলাম, শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠছিল।”
তার কথা শেষ হওয়ার আগেই সারা হেসে যোগ করলেন, “আমার তো ক্রিকেট রক্তে। ঠাকুরদা ছিলেন ক্রিকেটার। আজ ইডেনে গিয়েছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা আমৃত্যু মনে থাকবে।”
পরিচালক অনুরাগ বসুর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েও দুই তারকার উচ্ছ্বাস। “অনুরাগদার মতো মাপের পরিচালক যখন আমাদের বেছে নিয়েছেন, সেটা বড় সম্মানের ব্যাপার,”—বললেন সারা আর আদিত্য।
আড্ডার একপর্যায়ে উঠে এল সৌরভের আসন্ন বায়োপিক ‘মহারাজ’-এর প্রসঙ্গও। আদিত্য কি সুযোগ পেলে করবেন? হাসিমুখে সৌরভ জানালেন, “কাজ এগোচ্ছে। দেখা যাক, পরিচালক বিক্রম মোতওয়ানে কী বলেন।”
আদিত্য জানালেন, “এই ছবির কথা আগেই শুনেছি। সুযোগ পেলে দারুণ লাগবে।”
সারাও মিষ্টি হেসে জানালেন, “আমি তো আছিই!”
গল্প শেষে রাতের শহরের বুকে দ্রুত ছুটল তাঁদের গাড়ি। সৌরভের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা রওনা দিলেন পরবর্তী গন্তব্যের দিকে।
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/নাজিম