জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) রাজশাহী জেলা সমন্বয় কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী নাহিদুল ইসলাম সাজুকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার লিখিত জবাব তিনদিনের মধ্যে দলের শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিনের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত বুধবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর রানীবাজার এলাকার একটি রেস্তোরাঁয়। ওই রেস্তোরাঁটি এনসিপির জেলা প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলামের মালিকানাধীন। সেখানে কমিটির অন্য এক যুগ্ম সমন্বয়কারী ফিরোজ আলমকে বুকে লাথি মারেন নাহিদুল ইসলাম সাজু। ঘটনার পর তিনি স্থান ত্যাগ করেন এবং ফিরোজ আলমও বাড়ি ফিরছিলেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম কেন্দ্রের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ওই রাতে কমিটির কয়েকজন নেতা রাশেদুল ইসলামের রেস্তোরাঁয় বৈঠক করছিলেন। সেখানে নাহিদুল ও ফিরোজ একে অপরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তোলেন। এক পর্যায়ে ‘তুই আওয়ামী লীগ’ বলে কটাক্ষের জেরে উত্তেজনা দেখা দেয়।
ঘটনার পর নাহিদুল ইসলাম বলেন, এটা এখন সমাধান হয়ে গেছে। আমি ফিরোজের সঙ্গে কথা বলেছি। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল।
তবে শুক্রবার এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাতের স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে নাহিদুল ইসলামকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং লিখিত জবাব চাওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে নাহিদুল বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে বাধা দেওয়ার কারণে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমি জবাব দেব।
অপরদিকে, নিজের পদত্যাগপত্র পাঠানো প্রসঙ্গে কথা বলতে এনসিপির জেলার প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি স্বপরিবারে অসুস্থ। এনিয়ে এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ