কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবারও দিনভর উপাচার্যের কার্যালয়কে ঘিরে রাখেন শিক্ষকরা। উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়ার জন্য এ অবস্থান নেন শিক্ষকরা। এতে করে দ্বিতীয় দিনের মতো কার্যালয় অবরুদ্ধ থাকায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ কার্যালয়ে আসেননি। এরই মধ্যে উপাচার্যকে ‘অবাঞ্ছিত’ উল্লেখ করে তার সভাপতিত্বে শুক্রবার আসন্ন সিন্ডিকেট সভায় অংশ না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের চিঠি দেয় শিক্ষক সমিতি।
সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্য সিন্ডিকেট ও আত্মীয়করণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে ৭মার্চ উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডরমেটরিতে পরিকল্পিত হামলা ও ডাকাতি এবং ১৮ জানুয়ারি শিক্ষকদের বাসায় পরিকল্পিত হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা, বিভিন্ন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিসমূহের সুপারিশ ছাড়াই অবৈধ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও অনিয়মতান্ত্রিক সকল নিয়োগ বাতিল করাসহ শিক্ষক ডরমেটরিতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ ও ডেপুটিভাতা ভোগকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করাসহ মোট চার দফা দাবিতে গত বুধবার থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছে শিক্ষক সমিতি।
দাবি নিয়ে কথা বলতে গেলে সোমবার শিক্ষক নেতাদের তাচ্ছিল্য করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন উপাচার্য। যার প্রেক্ষিতে উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বুধবার তাকে কার্যালয়ে প্রবেশ বাধা দেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। দ্বিতীয় দিনের মত বৃহস্পতিবারও উপাচার্যের কার্যালয়কে ঘিরে রাখেন শিক্ষক নেতারা। তবে বৃহস্পতিবার উপাচার্য কার্যালয়ে আসেননি। কার্যালয়ের কিছু ফাইল কর্মকর্তাকে দিয়ে বাসভবনে নিয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন তিনি। অন্যদিকে শিক্ষক সমিতির দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে ‘অবাঞ্ছিত’ উপাচার্যের সভাপতিত্বে শুক্রবারের সিন্ডিকেট সভায় অংশ না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের চিঠি পাঠায় শিক্ষক সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিটি ই-মেইলের মাধ্যমে সিন্ডিকেট সদস্যদের পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা সিন্ডিকেট সদস্যদের চিঠি দিয়েছি। ‘অবাঞ্ছিত’ উপাচার্যের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে না। শুক্রবার সিন্ডিকেট সভা করতে চাইলে তাতে শিক্ষকরা বাধা দিবেন।’
শিক্ষক সমিতির দাবি অযৌক্তিক উল্লেখ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘তারা কেন আন্দোলন করছে তা প্রশ্নের বিষয়। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় সচল থাকুক।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার