বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যাললয় প্রশাসন।
শনিবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্টার ড. মো. জুলফিকার রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ এখন থেকে ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে ‘সাসপেন্ডেড এক্সপালশন’ বা ‘স্থগিত বহিষ্কারাদেশ’ বহাল থাকবে। এর মানে হলো, তারা বর্তমান স্প্রিং ২০২৫ সেমিস্টার থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন, তবে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।
অন্যদিকে, কিছু শিক্ষার্থীকে দুই সেমিস্টারের জন্য (স্প্রিং ২০২৫ এবং সামার ২০২৫) বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা আগামী ফল সেমিস্টার থেকে পুনরায় ক্লাসে ফিরতে পারবেন। এক্ষেত্রেও তাদের বিরুদ্ধে সাসপেন্ডেড এক্সপালশন বহাল থাকবে, অর্থাৎ ভবিষ্যতে আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা খুব শিগগিরই তাদের নিজ নিজ ই-মেইলে ডিসিপ্লিনারি কমিটির এ সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত নোটিশ পেয়ে যাবেন। শৃঙ্খলা কমিটির সভায় শিক্ষার্থীদের আবেদন পুনর্বিবেচনার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক আবু সা-দাত মো. মুনতাসিরবিল্লা জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সভা করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে আজ সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর নতুনবাজার এলাকায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা। ফলে নদ্দা থেকে বাড্ডাগামী সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হল-
১. অন্যায়ভাবে’ বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. বহিষ্কারের সঙ্গে সাথে জড়িত ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৩. ইউআইইউতে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম-অসুবিধা ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে যেসব সংস্কার দাবি করা হয়েছে, সেই সব বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
৫. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর বাতিল করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত