খুলনার বেসরকারি ড্যাপস ক্লিনিক থেকে চুরি হওয়া চার দিনের সেই নবজাতক (ছেলে শিশু) উদ্ধার হয়েছে। ছয় ঘণ্টা পর সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটিকে আবার ক্লিনিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। যিনি শিশুটিকে নিয়ে যান তিনিও একজন প্রসূতি মা। ওই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় তিনি একটি কণ্যা সন্তান জন্ম দেন। এর আগে সোমবার দুপুরে ড্যাপস হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে শিশুটি চুরি হয়।
জানা যায়, বাগেরহাটের মোংলার সিগন্যাল রোডের বাসিন্দা সুজন মিয়ার স্ত্রী ফারজানা আক্তারকে প্রসবজনিত কারণে এই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। চার দিন আগে শুক্রবার এই দম্পতির একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তারা শিশুটিকে নিয়ে তৃতীয় তলার নির্দিষ্ট কেবিনে ছিলেন। কিন্তু গতকাল দুপুরে ওই কেবিন থেকে শিশুটিকে চুরি করা হয়। ঘটনার সময় শিশুটির মা ও নানী ঘুমিয়ে ছিলেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় জানান, ওই একই ক্লিনিকে দ্বিতীয় তলায় আরেক প্রসূতি ৫ম বারের মতো কন্যা সন্তান জন্ম হয়। এ নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন অখুশি ছিল। রাগ করে তার স্বামী হাসপাতালে সন্তানের মুখ দেখতেও আসেনি। ফলে তাদের ‘জমজ শিশু হয়েছে, যার মধ্যে একটি ছেলে শিশু’ জানাতে তৃতীয় তলার নবজাতককে চুরি করার পরিকল্পনা করা হয়। তবে শিশুটিকে তাদের বাড়িতে নেওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হলে ৬ ঘণ্টা পর তারাই আবার শিশুটিকে হাসপাতালে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। পুলিশ এ ঘটনায় একজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলায় ভর্তি থাকা এক নারী তৃতীয় তলা থেকে একটি শিশুকে কাপড়ে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই নারী কাকে নিয়ে যাচ্ছে সেটি স্পষ্ট নয়। তবে সন্দেহের তীর শুরু থেকেই ওই নারীর দিকে ছিল।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ